মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, কোরবানির হাটে পশুর স্বাস্থ্যের বিষয়ে ডিসিদের নজর দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হাটে যে পশুগুলো আসবে সেগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। নিরাপদ ও সুন্দর স্বাস্থ্যের পশুগুলো যাতে কোরবানির জন্য যেতে পারে।
তিনি বলেন, কোথাও কেউ যাতে পশুর হাটে প্রভাব ফেলতে না পারে, জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকই মূলত এটা নিয়ন্ত্রণ করবেন। আমাদের কর্মকর্তারাও থাকবেন, সহায়তা দিয়ে তাদের এটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় দিন মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে এই নির্দেশ ও আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার করে গরু মোটা-তাজাকরণের বিষয়ে এক প্রশ্নে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, আগে স্টেরয়েড ব্যবহার করে গরু মোটাতাজা করা হত, ওই মাংস মানুষের জন্য ক্ষতিকর। এ বিষয়ে আমরা শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে না পারলেও আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি, এই দিক থেকে সন্দেহমুক্ত থাকতে পারেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি গরুতে না হলেও আমাদের হিসেবের মধ্যে যারা রয়েছে সেখানে গরুর দৈনন্দিন খাবার কী সেটাও আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা তদারকি করছেন। গরুর খাদ্যের বিকল্প যে পথ দেখানো হয়েছে, সেই পথে গরু ভাল মোটাতাজা হচ্ছে, সেখানে ওই খাবারের দরকার নেই।
বেশি লাভের আশায় জাতির ক্ষতি না করতে খামার মালিকদের বোঝানো হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তোমরাও ব্যবসা কর, জাতিকে ভাল খাবার দাও। এভাবে মানুষ কিন্তু ফিরে আসছে। ফরমালিনযুক্ত মাছ এখন এক প্রকার নেই, এটাও কিন্তু মোটিভেশন।
প্রতি বছরই কোরবানির ঈদের আগে পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি, প্রভাব খাটিয়ে যত্রতত্র হাট বসানো এবং হাটে ইজারাদারদের জোর খাটানোসহ নানা অনিয়ম নিয়ে খবর আসে সংবাদমাধ্যমে। এসব অনিয়মের কারণে পশুর দাম বেড়ে যায়, বাজারে তৈরি হয় অস্থিরতা।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply