সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণ, জেলাব্যাপী অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করা এবং প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবী জানিয়ে সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কমিশনারের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় জেলা নির্বাচন কমিশনারের কক্ষে এই সাক্ষাৎ হয়। প্রতিনিধিলে নেতৃত্ব দেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষর সদস্য ও সাতক্ষীরা আসনে জামায়াতের এমপি প্রাথী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জতউল্লাহ। এসময় দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও সাতক্ষীরা ২ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ প্রার্থী মুহাদ্দীস আব্দুল খালেক, জেলা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, শহর আমীর জাহিদুল ইসলাম, নায়েবে আমীর ফখরুল হাসান লাভলু, সেক্রেটারী খোরশেদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাতে জেলা নির্বাচন কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ছাড়াও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা নির্বাচন কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান জামায়াতের প্রতিনিধি দলের কথা শোনেন এবং জামায়াতের যৌক্তিক দাবী দাওয়া বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগীতার কথা জানান।
সাক্ষাৎ শেষে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষর সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জতউল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনলাইনে ভোটার হতে গিয়ে নানা জটিলতা ও প্রতিবন্ধকতাসহ নাগরিকদের ভোটাধিকার সুরক্ষায় বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করা, সমস্যা চিহ্নিত করা এবং দ্রুত কার্যকর সমাধান নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কমিশন সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এমন কথা দিয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে পারেনি ইসি। নগ্নভাবে কোনো কর্মকর্তা অনিয়ম করলে আমরা তুলে ধরবো, তারা বলেছে ব্যবস্থা নেবে। জামায়াতের এই নেতা বলেন, তফসিল ঘোষণা নিয়ে ইসির স্পষ্ট সিদ্ধান্ত কী তা জানতে চেয়ে ছিলাম । ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ নিয়ে কথা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে কথা হয়েছে। তিনি বলেন, একটি দলের নেতাকর্মীরা প্রচারে গিয়ে হামলার শিকার হচ্ছেন। তফসিল হলে এগুলো কী করে নিয়ন্ত্রণ করবে ইসি এসব নিয়েও কথা হয়েছে।
ইজ্জতউল্লাহ বলেন, ‘মাঠ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা বলেছি। প্রশাসনে কর্মকতা বড় বড় কর্মকর্তা এবং ইলেকশনের সঙ্গে রিলেটেড অফিসারদের নিরপেক্ষতা নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠেছে, সেটা আলোচনার বিষয় ছিল।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।