মোঃ শাহজাহান বাশার,স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ জানান, চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রাথমিক আলামত পাওয়া গেছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এক অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ৩৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজনকে প্রাথমিকভাবে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর লালদীঘি এলাকায় ইসকন সমর্থকদের হামলায় নিহত হন তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ।
তিনি 2018 সালে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন। সম্প্রতি চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত ড. মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রামের আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে জামিন নামঞ্জুর হলে কারাগারে পাঠানোর জন্য একটি প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার অনুসারীরা আদালত চত্বরে আড়াই ঘণ্টা প্রিজন ভ্যান অবরোধ করে রাখে।
পরে তারা আদালতের কেন্দ্রীয় মসজিদে হামলা চালিয়ে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। তাদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফসহ অন্যরা আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আলিফকে মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যাকাণ্ড একটি দুঃখজনক এবং গুরুতর ঘটনা। ইসকন সমর্থকদের সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে এমন একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, যা আইন ও শৃঙ্খলার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাইফুল ইসলাম আলিফ ছিলেন একজন প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ আইনজীবী, যিনি সম্প্রতি সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তার এই অকাল মৃত্যু শুধু তার পরিবারকেই নয়, পুরো আইনজীবী সমাজকে গভীর শোকাহত করেছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনারের তথ্য অনুযায়ী, ঘটনার তদন্তে এখন পর্যন্ত ৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে, এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই হত্যাকাণ্ড এবং এর সাথে জড়িত সহিংসতাগুলো আইনের শাসনের প্রতি গুরুতর আঘাত। দোষীদের দ্রুত বিচার এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
আলিফের মৃত্যুতে তার পরিবার ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। একইসঙ্গে আশা করি, এই ঘটনার তদন্ত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে এবং যারা জড়িত তাদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।