এম কামরুজ্জামান,শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা'র শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, ইউনিয়ন পরিষদের পূর্ব সাইডে পেরিফেরি জায়গা দখল করে ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবুর নেতৃত্বে বিভিন্ন লোকদের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা নিয়ে ১৮টি দোকান ঘর জোর পূর্ব তৈরি করছে।মঙ্গলবার ৫ মার্চ সরজমিনে যেয়ে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের পূর্ব সাইডে দোকানের কাজ চল ছিলো। স্থানীয়রা শ্যামনগর সহকারি কমিশনার(ভূমি) মোঃ আসাদুজ্জামান কে মোবাইল ফোনে জ্বালালে তাৎক্ষণিক স্থানীয় তফসিল অফিসের নায়েবে কে ঘটনার স্থলে পাঠিয়ে কাজের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু'র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা মোট ৩ একর ৭২ শতক। আমি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিং এর মধ্যে আমার পরিষদের সম্পূর্ণ জায়গাটি মাপ যোগের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ করে বসে আছে। যে জায়গাটি নিয়ে আজ প্রশ্ন উঠেছে ওই জায়গাটি আমার পরিষদের জায়গার ভিতরেই আছে। আমি কেন পেরিফেরি জায়গায় মার্কেট করতে যাব। ইউনিয়ন পরিষদ রীতিমতো ওই জায়গার ৩০ বছর খাজনা পরিশোধ করে আছে এবং পরিষদের নামে বি,আর,এস জরিপে ডিপি খতিয়ান-৪ রেকর্ড হয়েছে।খতিয়ান নং - ৪৪৫ তাহলে আমি অবৈধ হলাম কিভাবে। আমার মান সম্মান নষ্ট করার জন্য সমাজের কিছু দুষ্কৃতিকারী বিভিন্ন অনলাইন পটলের প্রতিনিধিদের ভুল তথ্য দিয়ে কয়েকটি ভিডিও রিপোর্ট পাবলিস্ট করেছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তি বলে আমি মনে করি। আমি সুনামের সাথে একটানা প্রায় আট বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমার পিছনে কোন অভিযোগ নেই।তারা নাকি বলেছে যে আমি বিভিন্ন লোকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দোকান তৈরি করছি। আমি আরো বলতে চাই আমি কারো কাছ থেকে টাকা নেইনি। এবং আমার নিজের অর্থে দোকান তৈরি করছি। কাউকে দোকান ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।তিনি আরো বলেন,আপনারা দেখে যান আমার পরিষদে নাকি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর হয়েছে। তার কোন সত্যতা আছে কিনা আপনারা দেখেন আমার পরিষদের পশ্চিম সাইডে সুন্দর একটি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি আছে যেটিতে বিভিন্ন সরকারি প্রোগ্রাম পালন করা হয়। আমার বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা প্রপাকা কান্ড ছড়াচ্ছে অচিরে তাদেরকে আইনের আওতায় নেওয়া হবে।এবিষয়ে শ্যামনগর সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ আছাদুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি শুনা মাত্র স্থানীয় তফসিলদারদের পাঠিয়ে দিয়ে কাজ বন্ধ করে রেখেছি। উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।