আন্দোলনে গুলি চালানো পুলিশ সদস্যদের শিগগিরই বিচার করতে হবে: ইশরাক হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১:০৭, ২৯ আগস্ট ২০২৪
আপডেট: ২১:০৯, ২৯ আগস্ট ২০২৪
নিজিস্ব প্রতিনিধিঃ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যেসব পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা নিরীহ জনগণের ওপর গুলি চালিয়েছে তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। একইসাথে নতুন করে এসব রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্যরা যেন আর কোনো দলীয় দাসে পরিণত না হয় সেটি মাথায় রেখে পুলিশবাহিনী সংস্কারেরও দাবি জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর জজ কোর্ট এলাকায় আন্দোলনে আহত ও নিহতদের পরিবারের খোঁজ খবর নিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ইশরাক হোসেন, যারা আন্দোলন দমনের নামে এত দিন আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হয়ে নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছেন, গুলি করে হত্যা করেছেন তারা সন্ত্রাস। তারা কোনো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নয়। তাই, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অতিদ্রুত তাদের চিহ্নিত করতে হবে। দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে এসে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।
পুলিশের সংস্কার নিয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, পুলিশবাহিনী যেন কোনো দলের বা ব্যক্তির লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত না হয়। তারা জনগণের চাকর, জনগণের সেবক। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় তাদের বেতন হয়। সুতারাং জনগণের সাথে যেন প্রভুত্ব না দেখায়। আমরা চাই আগামী দিনে পুলিশের সদস্যরা এমন আচরণ আর না করুক। যারা নিরীহ জনগণের ওপর, শিশুদের ওপর গুলি চালিয়েছে তারা পুলিশ নন।
ধোলাইখাল এলাকায় গিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেত-কর্মীদের নিয়ে দেখা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হওয়া হাবিবুল্লাহ বাহারের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ সিদ্দিকীর পরিবারের সাথে। এসময়, তাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত আব্দুল্লাহ সিদ্দিকীর মা ও বাবা।
এসময়, আব্দুল্লাহ সিদ্দিকীর মা বলেন, তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষমই ছিলেন আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী। সে পড়াশুনার পাশাপাশি ধোলাইখালে পার্টসের দোকানে কাজ করতো। তার নিহত হওয়ায় আর্থিক বেশ অসুবিধায় পড়েছেন পরিবার। এসময় ইশরাক হোসেন তার পরিবারের পাশে থাকারও ঘোষণা দেন। সেইসাথে সরকারের কাছে দাবি জানান, আব্দুল্লাহ সিদ্দিকীসহ এই আন্দোলনে নিহত হওয়া প্রত্যেক পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি নিশ্চিত করতে হবে। নিহত আব্দুল্লাহ সিদ্দিকীর বাসায় যাওয়ার পথে একই এলাকার গুলিবিদ্ধ ১০ বছরের দুই শিশুরও শারীরিক খোঁজ নেন বিএনপির এই নেতা।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।