আহসান উল্লাহ বাবলু,সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ আশাশুনি উপজেলার অনেককিছুর উন্নয়ন হলেও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ও অফিস জলাবদ্ধতার কারণে বছরের পর বছর ভোগান্তিতে রয়ে গেছে। ফলে ঐ সব প্রতিষ্ঠান ও অফিসে আগতদের দুর্দশা বছরের বেশীর ভাগ সময় বিপত্তিকর পরিস্থির উদ্ভব ঘটিয়ে চলেছে।
উপজেলা সদরের বাজার থেকে শুরু করে উপজেলা পরিষদ এলাকায় না ছিল সড়ক, না ছিল পয়ঃ নিস্কাশনের সুব্যবস্থা। দীর্ঘকাল বাজার ও অফিসে আগত মানুষ ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে জলাবদ্ধতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। গেল বছর উপজেলা পরিষদের অভ্যান্তরের সড়ক নির্মান করা হয়েছে। বাজার সড়কের কাজ শুরু করা হলেও বন্দ রয়েছে। কিন্তু সড়কের সাথে সাথে পয়ঃ নিস্কাশন ব্যবস্থা কার্যকর করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি নদীর পানি বাজারের উল্টর পার্শ্বের রাস্তা উপচে প্রতি বড় বড় গোণমুখে বাজারের ভিতরে, প্রধান সড়কের উপর দিয়ে অভ্যান্তরে ঢুকে থাকে। পানি উপচানো বন্দের লক্ষ্যে কিছু এলাকায় মাটির বিকল্প বাঁধ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু উপজেলা পরিষদ এলাকার পয়ঃ নিস্কাশন ব্যবস্থা সচল করতে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। হাসাপাতাল সড়কে একপাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে শুরু করা হলেও এভাবেই শেষ করা হয়েছে যে, ড্রেন কোন প্রকার উপকারে আসছেনা।
উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদ চত্বর পানিতে ডুবে আছে সেই বর্ষার শুরু থেকে। ডুবে আছে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনের চত্বর, দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তার অফিস চত্বর, আশাশুনি প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক ও হাসপাতালে যাতয়াতের একমাত্র সড়ক। মসজিদের মুসল্লিদেরকে মসজিদ চত্বরের আটকে থাকা ময়লা, কালো পানিতে পা দেওয়ার পরিবেশ না থাকায় মসজিদ নির্মান কাজের জন্য দীর্ঘ কয়েক মাস যাবৎ ফেলে রাখা টনকে টন রডের (যা পানিতে ভিজে ও নিমজ্জিত হয়ে নষ্ট হচ্ছে) উপর দিয়ে মসজিদে যাতয়াত করতে হচ্ছে। খাদ্য অফিসে জুতা ডুবিয়ে ও দারিদ্র বিমোচন অফিসে কষ্টকর পরিস্থিতিতে অফিস চালাতে হচ্ছে। হাসপাতাল ও প্রেসক্লাবে যাতয়াত তথৈবচ বললেও ভুল হবেনা। উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসন বিষয়টি অনুধাবন পূর্বক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করবেন এ দাবী সংশ্লিষ্ট সকলের।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।