নিজস্ব প্রতিনিধিঃরাজধানীর শাহজাদপুরে প্রগতি সরণির মাইশা চৌধুরী টাওয়ারে মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রহরী হাসান মাহমুদকে (৫৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয় বুধবার। প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের ক্রাইম সিন দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছিল, এটিএম বুথের টাকা লুটে বাধা দেওয়ায় তাকে খুন করা হয়। আরও পর্যবেক্ষণে পুলিশ মনে করছে, চুরি ডাকাতির উদ্দেশ্য ছাড়াও পরিকল্পিত হত্যাও হতে পারে। কারণ, নিহত প্রহরীর প্যান্টের পকেটেও কিছু টাকা ছিল। আর ছিল একটি বাটন ফোন। টাকার জন্যই যদি খুন করা হতো, তাহলে বুথের মেশিন ভাঙতে না পারলেও মৃতের পকেটে থাকা টাকা নেয়নি কেন। আবার শাহজাদপুর থেকে ঘাতক পায়ে হেঁটে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত গিয়েছে।
এই হত্যার ঘটনায় একটি গুলশানায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছেন গুলশান থানার উপ-পরির্দশক (নিরস্ত্র) মো. সৈকত। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, “এটি আসলে টাকা লুটের উদ্দেশ্যে নাকি অন্য কোনো ব্যক্তিগত কারণে খুন- সেই রহস্য খুঁজছি। আমরা বুথের সিসি কামরায় যা যা দেখেছি তাতে নিরাপত্তা প্রহরীকে কুপিয়ে হত্যা করে বুথে প্রবেশ করে লকারের সামনে দুটি হাতুড়ি ও একটি লোহার অ্যাঙ্গেল নিয়ে বসলেও খুব বেশি চেষ্টা করেনি ভাঙার। হয়তো শব্দে কেউ চলে আসবে- এই ভয়ে। না হয় শুধুই হত্যার উদ্দেশ্য। নিহতের পকেটে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোনও নেয়নি ঘাতক। বুথ থেকে বের হয়ে সোজা হাঁটতে হাঁটতে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে একটি পাবলিক বাসে উঠে চলে যায়। তখন তার হাত ছিল খালি। স্বাভাবিকভাবে হেঁটে যায়। ঘাতকের পরনে ছিল নীল জার্সি ও কালো প্যান্ট। এতদূর হাঁটার কারণই বা কী হতে পারে? তার কাছে টাকা থাকলে সে আগেই দ্রুত পালানোর জন্য অন্য উপায়েও চলে যেতে পারত। আসলে এরকম ছোট ছোট বিষয় নিয়েই আমরা তদন্ত করে হত্যাকারী পর্যন্ত পৌঁছানের চেষ্টা করছি।”
তদন্তের স্বার্থে কোন বাস, নম্বর কত এসব কিছু বলেন তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি বলেন, “ঘাতকের চেহারাটা সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট নয়।”
তবে লম্বায় ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজে একজন ছিল বলে দেখা গেছে। আমরা খুব দ্রুত হত্যার সঠিক রহস্য উন্মোচন করতে পারব। ঘাতককে গ্রেপ্তারে আমাদের সব রকম প্রচেষ্টা চলছে।”
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।