এস কে আলীম,কপিলমুনি খুলনা। কামলা খাটা একটি পরিবারের মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাই সামান্য ভিটেবাড়ির জায়গা জবর দখল করে সেখানে ভবন তৈরি করছে এক মাদ্রাসা শিক্ষক। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে কামলা খাটা ওই পরিবারকে চরম হয়রানী করছে। এমন অভিযোগ নিয়ে ভ্যানচালক আবু মুছার স্ত্রী গৃহবধূ নামজা বেগম কপিলমুনি প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মে
লনে কান্না জড়িত কন্ঠে গৃহবধূ বলেন, হাবিব নগর মাদ্রাসার শিক্ষক উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের আনিচুর রহমান একজন মামলাবাজ ও প্রতারক। প্রতারকের অভিযোগে সে ইতোপূর্বে হাজতবাসও করেছে। তিনি জানান, শ্রীরামপুর মৌজায় মাত্র ২০ শতাংশ পাঁচ পূরুষের পৈত্রিক ভিটায় তার স্বামীরা ৬ ভাই ও ২ ফুফু অনেক কষ্টে সেখানে বসবাস করছে। কামলা খেটে ও ভ্যান চালিয়ে তারা জীবিকা নির্বাহ করে। তারা হতদরিদ্র বিধায় সুচতুর আনিচ মাষ্টার তাদের ভিটা বাড়ির সীমানা বরাবর কয়েক শতাংশ জমি জবর দখল করে প্রথম পর্যায় পাকা বাসভবন নির্মাণ করার চেষ্টা করে। এতে বাঁধা দিলে আনিচ মাষ্টার তাদেরকে মারধর করে মামলা দেয়। দ্বিতীয় পর্যায় গত-১৮ জুলাই সকাল ১০ টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকায় সুযোগ বুঝে আনিচ মাষ্টার ভাড়া করে কিশোর গ্যাং দিয়ে সেখানে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে। ঘটনা জানতে পেরে আমরা নির্মাণ কাজে বাঁধা দিলে আমাদেরকে মারধর করে উল্টো আমাদের দুই গৃহবধূ সহ পরিবারের পাঁচ পুরুষের বিরুদ্ধে আবারও একটা মিথ্যা মামলা দিয়ের করে। এ ঘটনায় গ্রামবাসি ক্ষুব্ধ হলেও আনিচ মাষ্টার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেনা। গ্রামবাসি শালিসের আহবান জানালেও আনিচ মাষ্টার সেটা তোয়াক্কা করছেন না। আনিচ মাষ্টারের হাত থেকে রেহায় পেতে ও মাথা গোঁজার সামান্য ভিটা যেন না হারায় তার জন্য স্থানীয় এমপি,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে গৃহবধূ নাজমা বেগম।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।