এস,কে আলীম,কপিলমুনি খুলনা। কপিলমুনি সহ এর পার্শ্ববর্তী হাট-বাজারে শাকসবজি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর আকাশছোঁয়া মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ ভীষণ কষ্টে আছে।স্মরণকালে দ্রব্যসামগ্রীর এমন চড়া দাম কখনো দেখা যায়নি বলে অনেকে জানিয়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা যায় সাধারণ মানের চাউলের দাম প্রতি কেজি-৫৫- ৫৮ টাকা। বোতল জাত সয়াবিন প্রতি লেটার ১৬০-১৬২ টাকা,আর সুপার সয়াবিন প্রতি কেজি ১৫০-১৫৩ টাকা।সরিষার তেল ২২০-২২৫ দামে বিক্রি করা হচ্ছে।দেশি মসুরি ডাল কেজি প্রতি ৯৫-১০০ টাকা আর মোটা দানা মসুরি ডাল ৮৫-৯০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। চিনি প্রতি কেজির দাম ৮০-৮৩ টাকা।এই উত্তাপ সবজি বাজারে ছড়িয়েছে। বিশেষ করে শীতকালিন শাক সবজির দাম অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে দ্বিগুন বেড়েছে।প্রতি কেজি ফুলকপি ও ওলকপি ৮০-৯০ টাকা,টমেটা ৮০-৮৫ টাকা,বেগুন ৭০-৮০,বাঁধাকপি ৩৫-৪০, কাঁচালংকা ১৫০-১৬০,মূলা ৩০-৩৫,কাঁচাকলা ৪৫-৫০,বরবটি ৬০-৭০,পালঙশাক ৫৫-৬০,লালশাক ৩৫-৪০ টাকা দরে প্রতিকেজি বিক্রি করছে।তবে আলু,রসুন ও পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায় থাকলেও মাংসের দাম বেড়েছে। খাসির মাংস প্রতি কেজি ৭৫০-৮০০,গরুর মাংস ৫০০-৫৫০,পোল্ট্রি মাংস ১৭০-১৮০ দরে বিক্রি হচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর অগ্নিমূল্যে নাকাল হওয়া দিনমজুর নোয়াকাটি গ্রামের আলাউদ্দিন সেখ ও পত্রিকার হকার কামরুল ইসলাম জানান, চাউল কেনার পর অন্য অন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু কেনা সম্ভব হচ্ছেনা। ভীষন কষ্টে আছি ভাই। আর কপিলমুনির সবজি ব্যবসায়ী মীর আব্দুল আজীজ ও ইসমাঈল মোড়ল বলেন, গতবারের তুলনায় এবার শীতকালিন সবজি সহ অন্যান্য শাকসবজি বাজারে আমদানি খুবই কম বলে দাম বেড়েছে।আর কৃষ্ণকাটি গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন গাজী জানান, এবছর দীর্ঘ ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সবজি চাষে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ায় শাকসবজির উৎপাদন কমেছে।তাছাড়া এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা মেয়াদোত্তীর্ন শাক সবজির বীজ বিক্রি করার কারণে সবজি চাষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকরা।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।