এস কে আলীম,কপিলমুনি খুলনাঃ কপিলমুনির হাউলী তালতলা ইটের সড়কটি সংস্কারের অভাবে চলাচলে একেবারে অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে প্রায় এক যুগ ধরে। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় খাদের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও ইটের অস্তিত্ব নেই। যদিও দু একটা ভ্যান বা বাই সাইকেল আরোহীরা চলাচল করতে যেয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। বিশেষ করে বৃষ্টি মৌসুমে পথচারীদের ভোগান্তি চরমে ওঠে। সরকারের কোন এমপি, মন্ত্রী বা জনপ্রতিনিধির দৃষ্টিতে আজও আসেনি। অথচ এই সড়কটি অত্যান্ত জনগুরুত্বপূর্ন। সরকারের সিংহভাগ রপ্তানীযোগ্য রাজস্ব আসে চিংড়ী খাত থেকে। আর এই চিংড়ী অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় এই সড়ক দিয়ে চিংড়ী সহ বহু প্রজাতির পোনা মাছ সরবরাহ করে থাকে। কিন্তু এই সড়কের অবস্থা এতটা বেহাল যে পায়ে হেটেও যাতাওয়াত করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এক সময়ের ব্যস্ততম সড়কটিতে এখন কোন ভ্যানও চলাচল করতে চায়না। তালতলা থেকে কাশিমনগর মেইন সড়ক ধরে কপিলমুনি পৌছাতে হয়। প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ ঘুরে পৌছাতে সময় এবং টাকার অপচয় দুটোই বেড়েছে। তাছাড়া কপিলমুনিতে যানযট লেগে থাকে বহু আগে থেকে, তারপর তালতলা সড়কের সাথে সংযুক্ত হবার ফলে যানযট আরো তীব্র আকার ধারন করেছে। যানযটের কবলে পড়ে হিমায়িত ও পচনশীল দ্রব্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি স্কুল কলেজগামী ছাত্র ছাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এ ছাড়া জরুরী ও মুমূর্ষু রোগীদের জন্য এ সড়কটি য়েন অভিশাপ হয়ে দাড়িয়েছে। কপিলমুনির ভয়াবহ যানজট, দ্রূত পন্য পরিবহন,প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা,ছাত্রছাত্রীদের ভোগান্তি,ও মুমূর্ষু রোগীদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে হাউলী পুলের মাথা থেকে তালতলা ব্রীজ পর্যন্ত মাত্র তিন কিলোমিটার সড়কটি প্রশস্ত ও পিচঢালা করা হলে এ সব সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এলাকার বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রানের দাবী হাউলী তালতলা সড়কটি পিচঢালা করা হলে ব্যবসা বানিজ্যের ব্যাপক প্রসারের পাশাপাশি একটা বিশাল জনগোষ্ঠির নাগরিক সেবা বহুলাংশ বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া কপিলমুনির পূর্বাঞ্চলের জনগনের দ্রূত যাতায়াতের সুবিধা ও সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মহল। এ সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত পিচঢালা ও প্রশস্থ করনের জন্য স্থানীয় এম পির দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।