ডেস্ক রিপোর্ট: শনাক্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মৃত্যুও বাড়ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, শনিবার মারা যান ৭৯৪ জন। মোট মৃত্যু এক লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৬ জন।
ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ লাগামহীন গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই দৈনিক শনাক্তের নতুন রেকর্ড হচ্ছে। শনিবার দেশটিতে এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৮৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের নতুন রেকর্ড।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের তালিকায় তিন নম্বরে আছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরই দেশটির অবস্থান।
গত ৫ এপ্রিল ভারতে প্রথমবার দৈনিক শনাক্ত এক লাখ ছাড়িয়ে যায়। তারপর আরো চারদিন এক লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে।
বর্তমানে ভারতের ধনী রাজ্য মহারাষ্ট্রের অবস্থা সবথেকে বেশি খারাপ। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সেখানে বার, রেস্তোরাঁ, শপিংমল এবং প্রার্থনালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লোকজনের চলাচলের উপরও নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
কিন্তু পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হচ্ছে না। এদিকে, আবারও পূর্ণ লকডাউন জারি হতে পারে আশঙ্কায় পরিযায়ী শ্রমিকরা বড় বড় নগরী ছেড়ে নিজ নিজ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। এতে বড় নগরী থেকে সংক্রমণ ছোট ছোট শহর ও গ্রামগুলোতে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাস ও ট্রেন স্টেশনে উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। যদিও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ লকডাউনের ভয়ে লোকজনের নগর ছেড়ে চলে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তারা বলছেন, ছুটি থাকায় এবং ফসল কাটার মৌসুম শুরু হওয়ায় এ সময়ে সাধারণত প্রতিবছর এভাবেই পরিযায়ী শ্রমিকরা নগর ছেড়ে চলে যান।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।