শেখ আজমল কলারোয়া প্রতিনিধিঃরোববার (২২ অক্টোবর) সকালে কলারোয়া পৌরসভার হলরুমে ওই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। পৌরসভার মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে ওই কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন-কলারোয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান তুহিন, পৌর ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল ইসলাম, বিদ্যুৎইঞ্জিনিয়ার সোহরাওয়ার্দী হোসেন, প্রমুখ। কর্মশালায় পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড তুলসীডাঙ্গা গ্রামের ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরীতে গ্রামীণ নারীরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় কেচোর সার তৈরী করতে নির্দিষ্ট প্রজাতির কেচো বেছে নেয়ার জন্য তাদের কিছু বৈশিষ্ট্য দেখে নেওয়া আবশ্যক। যেমন-শীত ও গ্রীষ্ম উভয় আবহাওয়াতে বেচে থাকার ক্ষমতা। সব রকম জৈব বস্তু থেকে খাবার গ্রহন করার সামর্থ্য। কেচো যেন রাক্ষুসে প্রকৃতির হয়, অর্থাঃ আহার কার ক্ষমতা থাকতে হবে। অন্যান্য প্রজাতির কেচোর সাথে মিলেমিলে বাস করা। বৈজ দ্রব্য পাওয়ার সাথে সাথে বা অল্প সময়ের মধ্যে সক্রিয় হয়ে ওঠা এবং সেখান থেকে খাবার সংগ্রহ করা। রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা এবং প্রতিক অবস্থানে নিজেদেরকে মানিয়ে নেওয়া। প্রতিতার সাথে বংশ বিস্তার এবং শারীরিক বৃদ্ধি ঘটানো। বর্জ্য দিয়ে এই সার তৈরী করা যায়। ভার্মি কম্পোস্টকে মাটির প্রাণ বলা হয়। এখন এই মাটির প্রাণ তৈরীতে উদ্যোগী হয়েছেন কলারোয়া পৌর সদরের তুলসীডাঙ্গা গ্রামের নারীরা। গোবর ও মাটি পরে কেচোর খাবার হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
এছাড়া কর্মশালায় নারীদের কেচো কম্পোস্ট সার তৈরীতে উপকার ও উপকরণ বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।