শাহাদাত হোসেন,সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃকরোনার কারণে গত দুই বছর ঈদের বেচাবিক্রি করতে পারেননি বাঁশতলা বাজারের ব্যবসায়ীরা। এ বছর নানা পণ্য সাজিয়ে বসলেও আগের ঈদগুলোর মতো কাঙ্ক্ষিত বিক্রি নেই বলে জানিয়েছেন হতাশাগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা।
নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূখী, আর কাঁচামালের বাড়তি দাম ও কাপড়ের দাম বাড়ায় অনেকেই ঈদ বাজারের লিস্ট ছোট করায় ঈদের কাঙ্ক্ষিত বেচা কেনা হচ্ছে না বলে মনে করেন তারা।
কালিগঞ্জ উপজেলার বাঁশতলা বাজারের বিসমিল্লাহ শপিং সেন্টার, মা বাবার দোয়া শপিং সেন্টার, মায়া গার্মেন্টস, তামিম বস্তালয়, সরদার গার্মেন্টস, লিজা শপিং সেন্টার সহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে দোকানে নানা রকমের পণ্য আছে, লোক সমাগমও ভালো তবে বেচাবিক্রি কম।
বাঁশতলা বাজারের ব্যবসায়ী শামসুর রহমান বলেন, গত দুই বছরে ঈদের ব্যবসা করতে না পারায় এ বছর ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে দোকানে অনেক নতুন পণ্য রাখা হয়েছে। তবে ২০ রমজান পার হলেও এখনো কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা না থাকায় ২৫ শতাংশ পণ্যও বিক্রি হয়নি। এ অবস্থা চলতে থাকলে ঈদের আগে ৫০ শতাংশ পণ্য বিক্রি হবে কি না তা নিয়ে সংশয় আছে।
শামসুর এ প্রতিনিধিকে বলেন, বাজারে মানুষজন আসছেন, ক্রেতারা দোকানে দামাদামি করছেন তবে কাপড়ের দাম কিছুটা বাড়ায় অনেকেই না কিনে ফিরে যাচ্ছেন।
চাঁচাই গ্রামের বাসিন্দা হাসেম আলী জানান, পরিবারের স্ত্রী, সন্তান, রয়েছে। দুই বার ঈদের কেনাকাটার জন্য মার্কেটে এসেও কিছু কিনতে পারেননি। দামের সঙ্গে সঙ্গতি নেই সবার জন্য কেনার। তাই হয়তো শুধু বাচ্চা ও বাবার জন্য কাপড় কিনবেন এবার। কথা হয় শাড়ি কিনতে আসা নুরনাহার বেগমের সঙ্গে।
তিনি বলেন, দুটি শাড়ি পছন্দ করে কিনতে চাইলেও দোকানদার যে দাম হেঁকেছেন তাতে অন্যান্য কেনাকাটা করতে পারবেন না তাই একটি শাড়ি কিনেছেন।
কাপড় ব্যবসায়ী, শামসুর জানান, কাপড়ের পাইকারি বাজারে প্রতিটি কাপরের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে চড়া দামে কিনে চড়া দামেই বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বাঁশতলা বাজারের আল মদিনার কাপড় ব্যবসায়ী,শাহজাহান আলী বলেন, অন্যান্য বছর ঈদের বাজারে প্রতিদিন ৪০-৫০ টাকার বেচাকেনা হলেও এ বছর ১০-১৫ হাজার টাকার বেশি বিক্রি হচ্ছে না।
, দ্রব্যমূলের দাম বৃদ্ধির কারণে মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের বেশিরভাগই তাদের ঈদের বাজারের লিস্ট ছোট করে ফেলায় কাঙ্ক্ষিত ব্যবসা হচ্ছে না।
তবে এ বছর ঈদের কাঙ্ক্ষিত ব্যবসা করতে না পারায় অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছে। তবে ঈদের এখনও দুই দিন বাকি আছে, আশা করছি ঈদের শেষ মুহূর্তে বেচাকেনা বাড়তে পারে।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।