শাহাদাত হোসেন,জেলা প্রতিনিধিঃকালিগঞ্জে তিন মাস পূর্বে কার্পেটিং কাজের নামে রাস্তা খুঁড়ে রাখায় জনদুর্ভোগের শিকার হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ পথচলতি সাধারণ মানুষ। উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মাওঃ নুর ইসলামের বাড়ির সামনে থেকে বেজুয়া আসুর মুদির দোকান পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘ দিন বেহাল দশায় পড়ে আছে। বৃহস্পতিবার খোঁজখবর নিতে গেলে স্থানীয়রা জানান, গত বছরের শেষের দিকে কার্পেটিং রাস্তার কাজ উদ্বোধন করেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দিন। এরপর থেকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা ভেকু দিয়ে রাস্থা খুঁড়ে ফেলে রেখেছে। সেই থেকে রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ না থাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরাসহ পথ চলতি যাত্রী সাধরণের ভোগান্তির অন্ত নেই। এদিকে চলতি মৌসুমে মন্দা আবহাওয়ার কারণে একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জমে যায় হাঁটু পানি। পানি নিষ্কাশনের কোন ধরনের ব্যবস্থা না থাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ দিনে ও রাতে পথ চলতি যাত্রী সাধারণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় রাস্তার পাশেই রয়েছে শ্রীধর কাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। খুঁড়ে রাখা রাস্তার দুই ধারে ২’শ এর অধিক পরিবার বসবাস করছে। এসব পরিবারের সদস্যদের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকার চলাচল করলেও সুচতুর জনৈক ঠিকাদার কাজ শেষ করার কোন উদ্যোগ নিচ্ছেনা। নবনির্বাচিত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঠিকাদারকে বারবার বলা সত্ত্বেও তিনি কাজ শুরু করছেন না বিষয়টি আমি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার সাহেব কে জানিয়েছি। ঠিকাদার দেওয়ান সেকেন্দার আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে রাস্তার কাজ দেরী হচ্ছে। তবে সিডিউল সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে। এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্থায় বালি নিয়ে যাওয়ার সমস্যা হচ্ছিল। গত রাতে ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্থার কাজ শুরু করবে ঠিকাদার। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের নিমিত্তে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।