মোঃ শাহজাহান বাশার,স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সকল প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার রাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী মফিজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এবারের নির্বাচনে ১৫টি পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সকলের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের নির্ধারিত সময় সোমবার থাকায় ১৫টি পদে একক প্রার্থী থাকায় তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন:
সভাপতি: মো. শহিদুল্লাহ
সহ-সভাপতি: মো. নুরুল ইসলাম, মো. এরশাদুর রহমান
সাধারণ সম্পাদক: খন্দকার মিজানুর রহমান
সহ-সাধারণ সম্পাদক: নজরুল ইসলাম মানিক
ট্রেজারার: মো. মুজিবুল ইসলাম
লাইব্রেরি সম্পাদক: মোশাররফ হোসেন পাখি
এনরোলমেন্ট সম্পাদক: মো. শফিউল্লাহ
রিক্রিয়েশন সম্পাদক: মো. জহিরুল ইসলাম
আই.টি সম্পাদক: মো. সাইফুল ইসলাম
সদস্য: মো. ওবায়েদ উল্লাহ সরকার, মো. শরিফুল ইসলাম, মো. কামরুল হাসান সুমন, মু. সলিমুল্লাহ খান, মো. মাসুদ।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় এবং ৬ মার্চ ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারিত ছিল। তবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা মামলার চাপের কারণে এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি।
বঞ্চনার অভিযোগ আওয়ামী লীগপন্থীদের
সর্বশেষ আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান লিটন অভিযোগ করে বলেন, গত বছরের ৩ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় মিছিলে হামলার অভিযোগ এনে তাঁকে ও অন্যান্য ৩২ জন আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীকে আসামি করা হয়েছে। ফলে আদালত চত্বরে তাদের যাওয়া সম্ভব হয়নি এবং মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করাও কঠিন হয়ে পড়ে। তাদের নিরাপত্তা নিয়েও সংশয় ছিল, তাই অংশগ্রহণ করতে পারেননি।
তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট কাজী মফিজুল ইসলাম এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, যারা বৈধ ভোটার ছিলেন এবং টাকা জমা দিয়েছেন, তারাই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা চাইলে তারাও অংশ নিতে পারতেন।
নির্বাচন নিয়ে এ ধরনের অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃত্ব এবার বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীদের হাতে গেল।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।