নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিন উপজেলার সুয়াগাজিতে বন বিভাগের (ফরেস্ট চেক স্টেশনে) কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বনজ সম্পদ (কাঠ,বাঁশ,কাশ ফুলের ঝাড়ু সহ বনজ) বহনকারী গাড়ীর কাগজপত্র চেকিংয়ের নামে বছরের সব কয়টি দিনেই চালিয়ে যাচ্ছে যানবাহন থেকে টাকা আদায়, টাকা না দিলে গাড়ী আটকের মতো ঘটনা(চাঁদাবাজী)করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দৈনিক শ্রমিক পএিকার (নির্বাহী সম্পাদক) ও দৈনিক বাংলা খবর অনলাইন পোর্টাল এর (সম্পাদক) এম শাহীন আলম,সুয়াগাজী এলাকায় তথ্য সংগ্রহের কাজে যায়, তথ্য সংগ্রহ শেষে সুয়াগাজী ফরেস্ট চেক স্টেশনের উল্টো দিকে চা পান করার জন্য মোটর সাইকেল থামিয়ে দাঁড়ায় তাৎক্ষণিক কয়েক জন লোক বলাবলি করতে শোনা যায় এত নিউজ করার পরও ফরেস্ট চেক স্টেশনটিতে প্রতিদিনই কাগজপত্র চেকিংয়ের নামে চলে টাকা আদায় এই কথা শোনে সাংবাদিক শাহীন ফরেস্ট স্টেশনের উওর পাশে দাঁড়ানো একটি ফুলের ঝাড়ু ভর্তি ট্রাকের নিকট এগিয়ে গেলে সাংবাদিক পরিচয় দিলে ট্রাক থেকে একজন লোক নেমে এসে এখানে তার কাছ থেকে সুয়াগাজী ফরেস্ট স্টেশনে কাগজপত্র দেখার নাম করে ২৫০০ টাকা নেন বলে ভিডিও বক্তব্য প্রদান করেন ভোক্তভোগী মালের গাড়ির সাথে লোকটি , বক্তব্য নেয়ার পর ফরেস্ট চেক স্টেশনের দিকে এগিয়ে আসার আগেই টাকা আদায়কারী ঘুষখোর বাবুল বিষয়টি টের পেয়ে আড়ালে যায়,তখন সাংবাদিক ফরেস্ট চেক স্টেশন অফিসারের নিকট সাক্ষাৎ করতে অফিসের সামনে গেলে ফরেস্ট গার্ড বাবুল সাংবাদিকে বাধাঁ দেয় এবং বলতে থাকে আপনি কেন আসছেন এখানে কিছু বলার থাকলে আমার সাথে বলেন আপনি অফিসে যেতে পারবেন না,এর মধ্যে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দমকি প্রদর্শন সহ রাজনৈতিক ভাবে বিভিন্ন নেতা কর্মীদের পরিচয় দিতে থাকে এবং বলতে থাকে সে এলাকার লোকাল তার ভাই এডভোকেট তার আরেক ভাই রাজনৈতিক কেন্দ্রীয় পদে আছেন এইভাবে হুমকি দমকি প্রদর্শন করতে থাকে,সাংবাদিক এখানে কেন আসলেন তার স্যার কে নয় তাকে জবাব দিয়ে যেতে হবে বলে এবং সাংবাদিকের সাথে অশুভ আচরনসহ ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে তাৎক্ষণিক এক পর্যায়ে বাবুল, মহসিন সাংবাদিকে চাঁদাবাজ বলে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে ,স্টেশন কর্মকর্তা ও বাবুল গংরা সাংবাদিক শাহীন আলমের সাথে বিভিন্ন অসামাজিক আচরন করে,ঘটনার স্হল থেকে স্হানীয়রা সদর দক্ষিণ থানায় বিষয়টি অবগত করলে ঘটনার স্হলে এএসআই দেলোয়ার এসে পরিস্থিতি শান্ত করে সাংবাদিকে ,
উদ্ধার করে নিয়ে যায়, এই বিষয়ে গতকাল রাত থেকে বিভিন্ন লোক মারফত বাবুল গংরা ঘটনাটি যেন নিউজ করা না হয় হুমকি পরক্ষনে আকুতি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, বিষয়টি অবগত করার জন্য সকাল থেকে কুমিল্লা বিভাগীয় বন কর্মকর্তার সরকারি টেলিফোন এবং মুটো ফোনে বার বার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি,
যারা এই সুয়াগাজী ফরেস্ট চেক স্টেশনে প্রায় সময় টাকা দিয়ে কাগজপত্র চেক করে হয়রানির শিকার হন তাদের মধ্যে গতকাল একজন ভোক্তভোগী ভিডিও বক্তব্যে বলেন তিনি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে উলুফুলের ঝাড়ু ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।এ সময় সুয়াগাজি ফরেস্ট স্টেশনে আসলে চেক করার নামে ২ হাজার ৫০০ টাকা নজরানা দিয়ে চেকপোস্ট পার হতে হয়েছে বলে জানান সোহেল রানা সাগর।
ট্রাক চালক ফুল মিয়া জানান, প্রতি মাসে দু'একবার সুয়াগাজি ফরেস্ট স্টেশনের সামনে দিয়ে যাওয়ার আসা করি,সব সময়ই এ বন বিভাগের লোকদের প্রতি গাড়ি থেকে ২৫০০ টাকা করে দিতে হয়।
খাগড়াছড়ি থেকে আসা সেগুনের কাঠ ভর্তি ট্রাকের চালক রিতু মারমা জানান, সুয়াগাজি ফরেস্ট স্টেশনের চেকপোস্টে ২২০০ টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে মামলার ভয় দেখানো হয় বলে তিনি জানান।
খাগড়াছড়ি থেকে আসা বাঁশ ভর্তি ট্রাকের চালক শহিদ জানান, এ ফরেস্ট স্টেশনের চেকপোস্টে ১৫০০ টাকা কোন রশিদ ছাড়াই দিতে হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সুয়াগাজি বাজারের ব্যবসায়ী ও কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, যানবাহন চেকিংয়ের নামে কাঠের তৈরি আসবাবপত্র, কাঠ গাছ ও লাকরি ভর্তি সকল প্রকার যানবাহন থেকে অবৈধভাবে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা তুলা হচ্ছে।চেকপোস্টে কম টাকা দেয়ার চেষ্টা করলে দায়িত্বরত বন কর্মকর্তাদের এমন বলতেও শোনা যায়,‘আমাদের কম টাকা দিলে উপরের কর্মকর্তাদের খুশি করবো কিভাবে'?
এ বিষয়ে সুয়াগাজি ফরেস্ট চেক স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তার কাছে জানতে অফিসে যাওয়ার সময় অফিসের দরজার বাহিরে গার্ড বিষয়টি বুঝতে পেরে সাংবাদিকের মোবাইল ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নিতে হাতাহাতি করলে সদর দক্ষিন মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দেবাশিষ চৌধুরীকে সাংবাদিক মুঠোফোনে জানালে তিনি পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।