আব্দুল মাজিদ,কৃষ্ণনগর (কালিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ গত ২২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার আনুমানিক রাত ৯ টায়
কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে অসুস্থ মৃত প্রায় গরু জবাই কালে পঞ্চানন ঋষি নামে একজনকে গ্রেফতার করে কালিগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-সহকারী পরিদর্শক খবির উদ্দিন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের উপ-সহকারী পরিদর্শক খবির উদ্দিন রঘুনাথপুর গ্রামের লতিফা খাতুনের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ভুরুলিয়া ইউনিয়নের ইছাকুড় গ্রামের মানিক ঋষি এর জামাতা পঞ্চনন ঋষি কে পশু জবাইকালে ধরে ফেলে কিন্তু অসুস্থ পশু জবাইয়ের মূল হোতা আসাদুজ্জামান টুকু এবং ইয়াকুব সরদার সহ অন্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
পঞ্চনন ঋষি কে থানায় নিয়ে মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়ার দাবী করে কালিগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-সহকারী পরিদর্শক খবির উদ্দিন কিন্তু থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা আসামী গ্রেফতার বা থানায় নিয়ে মুচলেকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কাউকে গ্রফতার করে থানায় আনা হয়নি।
পুলিশের উপ সহকারী পরিদর্শক ও ওসির পরস্পর বিরোধী বক্তব্য ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তির মাধ্যমে জানা যায়, পুলিশের উপ সহকারী পরিদর্শক খবির উদ্দিন ৬ হাজার টাকা নিয়ে আটককৃত আসামীকে ছেড়ে দেয়।
প্রাপ্ত তথ্যে আরও জানা যায়, রঘুনাথপুর গ্রামের নূর আলী গাজীর মেয়ে লতিফা খাতুনের একটি গাভী বেশ কয়েকদিন যাবত অসুস্থ ছিল। গাভীটি যখন শক্তি হারিয়ে মৃত প্রায় তখন একই গ্রামের ইউনুস আলী সরদারের পুত্র ইয়াকুব আলী সরদার ৫ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করে নিয়ে লতিফা খাতুনের বাড়ীর পার্শ্ববর্তী বাগানে জবাই কালে পুলিশি অভিযানের স্বীকার হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল গফফার সহ অনেকেই জানান, ইয়াকুব আলী সরদার এবং আসাদুজ্জামান টুকু দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ মাংস বিক্রয়ের সাথে জড়িত। তাহারা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে মাংস এনে কম দামে বিক্রি করে বলে দাবি করলেও এর আড়ালে তাহারা অসুস্থ, রুগ্ন মৃত পশুর মাংস ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত।
এই অবৈধ মাংস ব্যবসায়ী সিণ্ডিকেটের হোতা ইয়াকুব সরদার এবং আসাদুজ্জামান টুকু কে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।