এম আব্দুর রহমান বাবু,বিশেষ প্রতিনিধি: শ্যামনগর সদরে পানি নিষ্কাশনের গুরুত্বপূর্ণ হায়বাতপুর - নকিপুর খাল খনন কার্যক্রমে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এক স্কুলশিক্ষক।নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট হাইস্কুলের সাবেক বিজ্ঞান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ওরফে ভোলা স্যার খালটি খননে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন।সরকারি খালের উপরে পাকা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে অবৈধভাবে ভোগ করছেন।এলাকাবাসী অবিলম্বে ওই পাকা প্রাচীর অপসারণ করে খালের জায়গা পুনরুদ্ধারের জন্যে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সাধারণ মানুষ ও সুধী মহলের নেতৃবৃন্দ ।
খালটি দ্রুতগতিতে সমাপ্তির পথে এগিয়ে চললেও গুটিকয়েক ব্যক্তির অসহযোগিতার কারণে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
উল্লেখ্য সাতক্ষীরা ৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার শ্যামনগর সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় প্রথম খালটি খনন করেন।গুরুত্বপূর্ণ এই খালটি দিয়ে শ্যামনগর সদরের নকিপুর হাট বাজার সংলগ্ন এলাকার পানি নিষ্কাশন হয়। এই খালটি দুইটি মৌজার মধ্য দিয়ে প্রবাহমান। হায়বাতপুর ও শ্যামনগর মৌজার মাঝখান দিয়ে।বর্তমানে প্রবাহমান খালটি হায়বাতপুর মৌজার ভিতরে।শ্যামনগর মৌজার খালটি নকিপুর সরকারি এইচসি পাইলট হাই স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত বিজ্ঞান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ওরফে ভোলা স্যার দখল করে আছেন। ভোলা স্যার নব্বইয়ের দশকে বিল ভরাট করে তারপর বাড়ি নির্মাণ করেন। তিনি বাড়ির ভিটা তৈরি করার সময় সরকারি খালের খাস জমিটুকু নিজের দখলে নিয়ে নেন।
তাছাড়া বর্তমানে হাল পর্চা বের হয়েছে সেখানে পূর্বের অবস্থানে খালটি নেই।বর্তমান খালটি রেকর্ডীয় জায়গার মধ্যে।খালের অবস্থান নব কুমার বিশ্বাস, সুকুমার বিশ্বাস ও রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস অর্থাৎ শ্যামনগর মৌজার দিকে মাপ জরিপে দৃশ্যমান হয়।অর্থাৎ পূর্বে খালের অবস্থান থেকে উত্তর দিকে ১১ ফুট দূরে অবস্থান করছে।
তবে খাল খননে ক্রমাগত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন নকিপুর গ্রামের রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ভোলা স্যার। তিনি সরকারি খালের উপর দিয়ে পাঁকা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছেন।সরকারি সার্ভেয়ার, দুই মৌজার দুজন জরিপকারী,ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ একাধিকবার মাপ জরিপ করার পরেও সাবেক ঐ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নানান তালবাহানা করছেন।অপরদিকে প্রবাহমান খালটির পূর্বদিকে নকিপুর গ্রামের শহীদ স্টাটার সরকারি খাস খালের ভিতরে বাথরুম নির্মাণ করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। বাথরুম অপসারণে তাকে বারবার বলা সত্ত্বেও সে নানানভাবে তাল বাহানা করছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন ।
এ ব্যাপারে শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাতক্ষীরা নারী ও শিশু কোটের পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বলেন,শ্যামনগর সদরের পানি নিষ্কাশনের এই গুরুত্বপূর্ণ খালটি খনন করা সময়ের দাবি ছিল।আমি দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়েই এই খালটি খননে মনোযোগ দিয়েছি।এখানে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। আইন সকলের জন্য সমান এই দৃষ্টিতে প্রকৃত জরিপ করার পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী খাল খনন চলছে। এটা নিয়ে কেউ যদি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় তাকে সে সুযোগ দেওয়া হবে না। সে যত বড় ব্যক্তিই হোক খাল নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের মিশন সফল হতে দেয়া হবে না। জনস্বার্থে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।