খুলনা প্রতিনিধিঃ
আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে সর্দি, কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়ারিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এ কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে খুলনা শিশু হাসপাতালে। রোগীর চাপ বাড়ায় শয্যা সংকটের কারণে অনেককেই বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। অনেককেই আবার যেতে হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতলে। কর্তৃপক্ষ শয্যার ব্যবস্থা করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন রোগীর স্বজনরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের জন্য সিট রয়েছে ২৭৫টি। মাসে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩৫৬ জন। এর মধ্যে নিউমোনিয়া, ডায়ারিয়ার রোগীই বেশি। গত অক্টোবর মাসে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ হাজার ৩১৫ জন। শনিবারও রোগী ভর্তি হয়েছে ৪৬ জন। আর বহির্বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসা নিয়েছে ৭২৪ জন শিশু। একেকজন চিকিৎসক অন্তত ৮০ জন করে রোগী দেখছেন বহির্বিভাগে। খুলনা শহরের বাইরে আশপাশের অন্তত ১০টি জেলা থেকে রোগী আসছে শিশু হাসপাতালে। সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, যশোর, পিরোজপুর এমনকি ভোলা থেকেও শিশু রোগী আসছে। ডায়ারিয়া আক্রান্ত ৪ বছরের শিশু রাকিবকে ভোলা থেকে নিয়ে এসেছেন তার বাবা মা। রাকিবের বাবা আব্দুর রহিম জানান, গত তিন দিন যাবৎ ছেলেকে নিয়ে এখানে ভর্তি। একদিন অপেক্ষা করে সিট পেয়েছেন। এখন তার ছেলে অনেকটা সুস্থ। শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আরিফুল কামাল রাসেল বলেন, ‘ঋতু পরিবর্তনের ফলে বেশিরভাগ শিশুরা বুকের সংক্রমণ (নিউমোনিয়া) কোল্ড ডায়ারিয়াসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ সময় শিশুদের ধূলা-বালি, মশার কয়েলের ধোঁয়া, বাহিরের খাবার ডাণ্ডা-গরম থেকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করতে হবে। অন্য সময়ের তুলনায় শিশুদের একটু বাড়তি যত্ন নিতে হবে।’ হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা আরএমও ডা. মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘খুলনা শিশু হাসপাতালে বর্তমানে ভর্তিচ্ছু রোগীদের প্রয়োজনের তুলনায় বেড সংখ্যা কম। তাই চাহিদা থাকলেও আমরা সব রোগীদের ভর্তি নিতে পারছি না। অক্টোবর মাসে থেকেই রোগীর চাপ বেড়েছে।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।