আমজাদ হোসেন মিঠু,শ্যামনগরঃ শ্যামনগরে রাতের আঁধারে মৎস্য ঘেরের মালিক কর্তৃক বিষ প্রয়োগ করে প্রতিবেশীকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে
শ্যামনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিংড়িখালি গ্রাম। তথ্য অনুসন্ধানে জানাযায়, চিংড়িখালি গ্রামের মৃত,হাজী আব্দুল জলিল মিস্ত্রির ছেলে হাজী আবু দাউদের নিকট থেকে ৩ বছর আগে একই গ্রামের মৃত অহেদ কাগজীর ছেলে আমিনুর ও রবি গাইন ডিড নিয়ে মৎস্য ঘের করে। তারা জমির মালিক কে নির্দিষ্ট সময়ে হারির টাকা পরিশোধ না করায় গত কয়েক মাস পূর্বে একই গ্রামের মৃত কাশেম সরদারের পুত্র ইসরাফিল সদ্দার ও একই গ্রামের নিরা গাইনের পুত্র অঞ্জন গাইন কে জমির মালিক হাজী আবু দাউদ মিস্ত্রি উক্ত জমি ডিড দেয়ার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু প্রতিবেশী আমিনুর ঘেরটি করায় জমির মালিকের প্রস্তাবে রাজি হয়নি ইসরাফিল সদ্দার ও অঞ্জন গাইন। সেই থেকে আমিনুর ইসরাফিল ও অঞ্জন গাইনের উপর ভুল বুঝে বিভিন্ন বিপদ আপদে ফেলার হুমকি-ধমকি অব্যাহত রাখে। তারই প্রেক্ষিতে গত বুধবার রাতে আমিনুর ডিডকৃত জমি মধ্যে হতে ৫ শতক জমির একটি ছোট পুকুরে রাতের আঁধারে বিষ প্রয়োগ করে ১২০টি ভেটকি মাছ মারা যাওয়ার অভিযোগ এনে তার প্রতিবেশী ইসরাফিল সদ্দার ও অঞ্জন গাইন কে ফাঁসানোর জন্য একটি অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্ত পরিবার।
এ বিষয়ে চিংড়িখালি গ্রামের ইসরাফিল সরদার বলেন, জমির মালিক আমাদের উক্ত জমি ডিড দিতে চাওয়ার করণে আমিনুর আমাদের উপর ভুল ধারণা করে। সে আমাদের কে বিপদে ফেলার জন্য দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রকমের পরিকল্পনা করে আসছে।
বিষয়টি নিয়ে শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চিংড়িখালি গ্রামের ইউপি সদস্য আবু-বক্কারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি, তবে চোখে না দেখে কাউকে এভাবে দোষারোপ করা যাবে না।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।