ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরের প্রথম ম্যাচেই জমজমাট এক লড়াই উপভোগ করলো ক্রিকেটপ্রেমীরা। এবারের আসরের প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হয় শিরোপা জয়ের দিক থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও দুর্দান্ত ঢাকা। যেখানে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দারুণ শুরু করলো রাজধানীর দল দুর্দান্ত ঢাকা।
কুমিল্লার দেওয়া ১৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভালোই জবাব দিতে থাকে দুর্দান্ত ঢাকা। কোনো উইকেটে না হারিয়ে ১২ ওভার ৩ বলেই দলীয় শতক তুলে নেয় তারা। শেষের দিকে দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়লেও শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
তারুণ্য নির্ভর দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন দানুশকা গুনাথিলাকা ও মোহাম্মদ নাঈম। শুরু থেকেই কুমিল্লার বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালাতে থাকেন তারা। প্রথম পাওয়ার প্লেতে তুলে নেন ৫৬ রান।
ম্যাথু ওয়াল্টার ফোর্ড, , মুশফিক হাসান, রোসটন চেজ, তানভির ইসলাম আর মোস্তাফিজুর রহমান চেষ্টা করেও ভাঙতে পারেননি এই জুটি। এই জুটিতে ভর করে ১০ ওভারে ৮১ রান তুলে নেয় তারা, আর আর ১২ ওভার ৩ বলে পূর্ণ করে দলীয় শতক। এর মাঝেই ব্যক্তিগত অর্ধমতক তুলে নেন মোহাম্মদ নাঈম।
কুমিল্লার বিপক্ষে আজ তিনি ৩৮ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। তবে অর্ধশতক তুলে নিলেও নিজের ইনিংসকে বেশিধূর নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। ৪০ বলে ৫২ রান করে তানভির ইসলামের শিকার হয়ে ফিরে যান সাজঘরে।
মোহাম্মদ নাঈমের পর দানুশকা গুনাথিলাকাকেও ফেরান তানভির ইসলাম। তানভিরের বলে মিড উইকেটে জাকির আলির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান দানুশকা গুনাথিলাকা। আউট হওয়ার আগে করেন ৪২ বলে ৪১ রান।
মোহাম্মদ নাঈমের আর দানুশকা গুনাথিলাকার পর সাজঘরে ফিরে যান লাসিথ ক্রসপুলে। মোস্তাফিজের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।
১১৮ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন ইরফান শুক্কুর ও সাইফ হাসান। তবে দলীয় ১৩৩ রানে সাইফের বিদায়ের পর ভেঙে যায় এই জুটি। খুশদিল শাহ এর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান সাইফ হাসান। যার ফলে ১৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দুর্দন্ত ঢাকা।
২০ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মোস্তাফিজের শিকার হয়ে ইরফান শুক্কুর সাজঘরে ফিরে গেলে ঢাকার বিপদ আরও বেড়ে যায়। তবে পরের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয় উপহার দেন চতুরঙ্গা ডি সিলভা।
এর আগে প্রথমে টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসের কুমিল্লা শুরুটা ভালো করতে পারেননি। লিটন নিজেই ফিরে যান ব্যক্তিগত ১৬ রান করে। এরপর ইমরুল কায়েসের ৬৬ রান এবং তাওহীদ হৃদয়ের ৪৭ রানে ভর করে ১৪৩ রানের পুঁজি পায় কুমিল্লা। বিপিএলের প্রথম ম্যাচেই কুমিল্লার ইনিংসের ২০তম ওভারের শেষ তিন বলে কুশদিল শাহ, রোস্টন চেজ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে ফিরিয়ে প্রথম হ্যাটট্রিকের স্বাদ পান শরিফুল ইসলাম।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।