এম কামরুজ্জামান,শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের জায়গায় নবায়ন পাওয়ার জন্য শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার সকাল ১০ টায় প্রেসক্লাব হল রুমে লিখিত সংবাদ সম্মেলন পাঠ করেন শ্যামনগর পৌরসভার নকিপুর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত সামছুর রহমানের ছেলে শেখ সাইফুল ইসলাম,শেখ রেজা আহাম্মেদ।
লিখিত বক্তব্যে বলেন,শ্যামনগর থানাধীন কালিগঞ্জ-ঈশ্বরীপুর রাস্তার পার্শ্বে নকিপুর বাজারস্থ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের রাস্তার পূর্ব পাশে আমাদের রেকর্ডিয় ও বসতভিটা। যার বর্তমান সেটেলমেন্ট জরিপে ডিপি ২২৩ নং খতিয়ান ও হাল দাগ ১৮৩, এসএস খতিয়ান- ৫৭৭, দাগ নং- ৭৮,৭৯ আমাদের ভিটাবাড়ি অবস্থিত। আমাদের বাড়ির সামনে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের রাস্তা সংলগ্ন জায়গা আমি ও আমার পরিবার ১৯৯০ সাল হতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১৭৮/২০০৬,০৭ কেসের জায়গায় রজস্ব পরিশোধ করিয়া আসছিলাম। সেখানে দোকানঘর নির্মান করে শান্তিপূর্ন ব্যবসা করে আসছিলাম। যা বর্তমান এখনো দোকানঘর বিদ্যমান ও দখলে আছে। গত ২০১৬ সালে শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দারের রাজনৈতিক ও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আমাদের রেকর্ডিয় ও ভিটার সামনে দোকানগুলো জবরদখল করে নিয়েছিলেন সাবেক এমপির সহোদর ভাই এস এম কামরুল হায়দার নান্টু, জগলুল হায়দারের এপিএস মোঃ আশরাফ আলী, শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন আ'লীগের সভাপতি জি.এম আকবর কবীর, সাবেক এমপি জগলুল হায়দারে গাড়ি চালক মেহেদী হাসান, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান ও আনছার আলীর ছেলে মিজানুর রহমান। এতে আমি ও আমার পরিবার ভিষন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।যাহা বাজারের দোকানমালিকগণ ও বাজার কমিটি সহ সাধারন মানুষ অবগত আছে। গত ৫ই আগস্ট বৈষম্য ছাত্র জনতার আন্দোলনে দেশ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হওয়ায় এবং আইনের সু- শাসন চালু হওয়ায় বর্তমান দোকানগুলো আমার দখলে রয়েছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের নির্বাহী মহোদয়ের নিকট পুনরায় ১৭৮/২০০৬, ০৭ কেসের ১০০/১০ বর্গফুট জায়গায় পুনরায় ইজারা নবায়ন পেতে আবেদন করেছি।
তার আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে নবায়নটি যাতে দ্রুত পেতে পারি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।