মোঃ আবুল বাসার,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃটানা বৃষ্টিপাতে পানির নিচে তলিয়ে গেছে নোয়াখালীর শহর ও গ্রামীণ জনপদ। গত তিন দিন ধরে থেমে থেমে এবং গতকাল থেকে টানা ভারি বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা চরমে পৌঁছেছে। এতে করে শহরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। গ্রামের ভেতর দিয়ে যাওয়া কাঁচা সড়ক এবং বসতবাড়িতেও পানি উঠে গেছে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালী জেলা শহরে ১৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, আগামী পাঁচ দিন এমন আবহাওয়া বজায় থাকতে পারে। এরমধ্যে আগামী দুই-তিন দিন ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনেজ ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। শহরের অধিকাংশ নালা-নর্দমা ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ। পাশাপাশি খাল-নালাগুলো দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ এবং অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে বৃষ্টির পানি স্বাভাবিকভাবে নিষ্কাশন হতে পারছে না। একই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে শহরের আশপাশের গ্রামগুলোতেও।
স্থানীয়দের আশঙ্কা, বৃষ্টি এভাবে অব্যাহত থাকলে গত বছরের মতো এবারও ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হতে পারে জেলা।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, আমি নিজে কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছি। শহরের প্রধান সড়কগুলো এখনো সচল আছে, তবে কিছু উপ-সড়কে পানি উঠে গেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল ও ড্রেন পরিস্কার এবং সংস্কারের কাজ ইতোমধ্যেই হাতে নেয়া হয়েছে।
বৃষ্টির এ ধারা অব্যাহত থাকলে দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। এ দিকে জেলার ৯ টি উপজেলার আমন বীজতলা মাছের ঘের ও বাড়ীঘর পানির নীচে তলিয়ে গেছে এতে মাছ চাষী ও কৃষকের কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়, অভিজ্ঞ মহলের ধারণা এ ভাবে আরো ৩/৪ দিন বৃষ্টি চলতে থাকলে জেলাবাসীর হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে যাবে ।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।