হাকিকুল ইসলাম খোকন,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধি: দুটি ভ্যাকসিন নেয়া থাকলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আবার মাস্ক পরতে হবে। বিশেষ করে কোনো ইনডোর অনুষ্ঠানে বা যে সব জায়গায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে সেখানে। ডেল্টার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন। খবর: ডয়চে ভেলে ।
মঙ্গলবার তারা ঘোষণা করেছে, যাদের দুটি ভ্যাকসিন নেয়া হয়েছে, তাদেরকেও আবার মাস্ক পরতে হবে। করোনা আবার ছড়াচ্ছে বলে আগের সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হলো আমেরিকা। সেন্টারের ডিরেক্টর বলেছেন, যারা দুটি ডোজ নিয়েছেন, তারাও করোনার ভাইরাস ছড়াতে পারেন। আমেরিকার বেশ কিছু রাজ্য ও বিশ্বের কয়েকটি দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করার পরই এই সিদ্ধান্তে এসেছেন তারা।
সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল (সিডিসি)-র সুপারিশ, যারা ঘরের ভিতরে কাজ করেন, বিশেষ করে শিক্ষক, ছাত্র, সরকারি, বেসরকারি কর্মী, স্কুল বা অফিসে যারা বাইরে থেকে আসেন তাদের মাস্ক পরতে হবে।
পরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, করোনা যেখানে ছড়াচ্ছে, সেখানে মানুষকে সিডিসি-র নতুন নির্দেশ পালন করতে হবে। তিনি নিজেও এই নীতি মানবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তার মতে, সিডিসি-র নতুন নীতি থেকে এটাও বোঝা যাচ্ছে, সবাইকে দ্রুত ভ্যাকসিন নিতে হবে।
করোনাকালের অধিকাংশ সময়েই সিডিসি অ্যামেরিকার মানুষকে মাস্ক পরতে বলেছে। ঘরের বাইরে যখন অন্যের থেকে দূরত্ব ছয় ফিটের কম থাকবে তখন মাস্ক অবশ্যই পরতে হবে বলে তারা জানিয়েছিল।
গত এপ্রিলে তারা এই কড়াকড়ি শিথিল করে। তখন বেশ কিছু লোককে টিকা দেয়া হয়ে গেছে। সিডিসি জানায়, যারা দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাদের আর মাস্ক পরার দরকার নেই। খুব ভিড়ের জায়গায় গেলে তবেই মাস্ক পরতে হবে, না হলে নয়। পরে মে মাসে আবার নিয়মের পরিবর্তন করা হয়। তখন বলা হয়, বাইরে ভিড়ের মধ্যে এবং বদ্ধ জায়গাতেও আর মাস্ক পরার দরকার নেই। শুধু বাস, প্লেন এবং হাসপাতালে মাস্ক পরতে হবে।
এদিকে আমেরিকায় এখন প্রতিদিন গড়ে ৫৭ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তার মধ্যে ২৪ হাজার মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে। ৫০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, নতুন করে যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশ ডেল্টায় আক্রান্ত।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।