মোঃফিরোজ উদ্দিন,তানোর(রাজশাহী)প্রতিদিধিঃ রাজশাহীর তানোরে এবার আলুর আবাদ বেড়েছে। তবে হঠাৎ করে খুচরা বাজারে বেড়েছে সারের দাম এবং সার কিনতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কৃষকদের।দাম বেড়ে যাওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
যদিও কৃষকদের এমন দাবি সত্যি নয় বলে জানালেন বি.সি.আই.সি অনুমোদিত রাসায়নিক সারের ডিলার মের্সাস মৌসুমী ট্রেডার্স এর পরিচালক শ্রীঃবিকাশ কুমার দাশ।
বিকাশ কুমার দাশ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন কৃষি বান্ধব সরকার এবছর পর্যাপ্ত সার কৃষকদের জন্য বরাদ্দ করেছেন ।কাজেই কৃষকদের বিভ্রান্ত হওয়ার কোন দরকার নেই। আমার কাছে আমার ঘরে যতক্ষণ সার থাকবে আমি কৃষকদের মাঝে সরকার নিধারিত ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করব।
তিনি আরো জানান যে, রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলায় সাতটি ইউনিয়নে সারের চাহিদার তুলনা অনুযায়ী সার সরবরাহ হয়েছে।কাজেই কৃষকদের বিভ্রান্ত হবার কিছুই নেই সকল কৃষকরা সার পাবেন।
তবে অনেক কৃষকেরা আলুর মৌসুমের আগেই সার কিনতে ভিড় জমিয়েছে সার ডিলার এর দোকানে। তারা শঙ্কিত যে আলুর মৌসুমে সাররে চাহিদা বেড়ে যাই আবার চড়া দামেও সার কিনতে হয় এবং প্রয়োজনের সময় সার পাবেন কিনা তা নিয়েও ভাবনা তাই আগে থেকেই সার কিনেছেন তারা।
কৃষকরা জানান আলুচাষের সময় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমের কারণে খুচরা বাজারের এর প্রভাব পড়ে তাই আগে থেকেই সার কিনেছেন তারা।তবে এখানে সেরকম কোন প্রভাব পড়েনি চাহিদা অনুযায়ী সার কিনেছেন তারা।
তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের এক কৃষক নামঃসানোয়ার সারের সে কি দামে সার কিনেছেন তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সরকার নিধারিত দামে অথাৎ প্রতিবস্তা ইউরিয়া ৮০০টাকা, টিএসপি ১১০০টাকা, এবং পটাস(এমওপি) ৭৫০টাকা, দরে কিনেছেন।
তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে যে, কৃষকদের মাঝে সার বিতরণের সময় কৃষি অফিসার মোঃময়নুল ইসলাম এর উপস্থিতে কৃষকদের মাঝে সরকার নিধারিত দামে সার বিতরণ করা হয়েছে।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।