মোঃ শাহজাহান বাশার,স্টাফ রিপোর্টারঃ
আলোচিত চট্টগ্রামের দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই রায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও আইনি অঙ্গনে আলোচিত বিষয়। ২০০৪ সালের এই ঘটনাটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম বড় অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত।
রায়ের প্রধান পয়েন্টগুলো লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সাতজন খালাস পেয়েছেন।উচ্চ আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ যথেষ্ট না হওয়ায় খালাস দিয়েছেন।ছয়জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড ও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আংশিক প্রমাণিত হয়েছে। পরেশ বড়ুয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ভারতের বিদ্রোহী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডারের শাস্তি বহাল রাখা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড রায়ের সংশোধন বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া কিছু আসামি খালাস বা দণ্ড লঘু করা হয়েছে।
মামলার পটভূমি: ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল কর্ণফুলী নদীর তীরে সিইউএফএল ঘাটে ১০ ট্রাক অস্ত্র ও গোলাবারুদ আটক হয়। দুইটি মামলা করা হয় একটি অস্ত্র আইনে, আরেকটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে।২০১৪ সালে বিচারিক আদালত এই মামলায় বাবরসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
বর্তমান রায় নিয়ে বিতর্ক আইনের সীমাবদ্ধতা এবং উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, প্রমাণের অভাব এবং তদন্তের ত্রুটির কারণে কয়েকজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক প্রভাব ও এই রায় রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন দিক থেকে আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
প্রাসঙ্গিকতা এটি শুধু একটি সাধারণ মামলা নয়, বরং বাংলাদেশের নিরাপত্তা, আইন প্রয়োগের সঠিকতা, এবং রাজনৈতিক পটভূমিতে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রয়েছে। আপনার কি মনে হয়, এই রায় দেশের বিচারব্যবস্থায় আস্থা বাড়াবে, নাকি প্রশ্নের জন্ম দেবে?বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।