মোঃ বেলাল হোসেন,স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রামঃআসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম ১২ আসনের ভোটের মাঠে নৌকা ঈগল প্রার্থীরা বেসামাল। প্রচার প্রচারণার দিন যতই গরাচ্ছে , ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভোটের মাঠ। আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের ঘিরে প্রতিদিনই বাড়ছে সংঘর্ষ , সংঘাত ও গোলাগুলি সহ নানা রকম সহিংসতার ঘটনা লেগে রয়েছে। এতে ভোটের আগেই উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় রয়েছেন প্রার্থী, সমর্থক ও ভোটাররা। তৃণমূল নেতা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপিবিহীন নির্বাচনকে উৎসব মূখর ও অংশগ্রহণমূলক করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সেই ঘোষণার পর বেশিরভাগ আসনে নৌকা প্রতীকের সাথে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী । কিন্তু প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকেই সহিংসতার ঘটনা লেগে রয়েছে। এতে দেশ ও বিদেশে আওয়ামীলীগ ও শেখ হাসিনাকে প্রশ্নবিদধ করার শামিল।
নির্বাচনে কোনো সংঘাত না করতে দলীয় প্রার্থীদের সতর্ক করে দিয়েছেন আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। গত বৃহস্পতিবার দেওয়া ভাষণে তিনি বলেছিলেন , জনগণ যাকে ভোট দিবেন, তিনি নির্বাচিত হবেন। আওয়ামীলীগের কেউ সংঘাত করলে ও রেহাই নেই। যথাযত ব্যবসথা নেওয়া হবে।
একসূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম ১২ পটিয়া ও চট্টগ্রাম ১৫ সাতকানিয়া - লোহাগাড়া আসন নিয়ে চিন্তিত ইসি। প্রচারণার পর থেকেই এই দুটি আসনে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
পটিয়ায় আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোতাহারুল ইসলাম চৌধুরী (নৌকা ) স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর (ঈগল) সমর্থকদের মধ্যে প্রতিনিয়ত সংঘাত সংঘর্ষ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা লেগে রয়েছে। সহিংসতার ঘটনায় অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করে আসছেন দুই প্রার্থী।
গতকাল শুক্রবার খুলনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেছেন , যেকোনো মূল্যে নির্বাচনকে অবাধ , নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে,
পটিয়া, সাতকানিয়া , সন্দীপ, মীরসরাই ও বাঁশখালী আসনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে চিন্তিত ইসি, শঙ্কিত ভোটাররা।
সহিংস ঘটনায় প্রশ্নবিদধ হচ্ছে আওয়ামীলীগ।
আওয়ামীলীগের দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সহিংসতায় উৎকণ্ঠ কিংস পার্টির প্রার্থীরা।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।