নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জনসভায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে ধানের শীষে ভোট চেয়েছেন বরিশাল-১ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থীর ছেলে কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা আরাফাত বিল্লাহ খান। ইতোমধ্যে বাবার বিপক্ষে গিয়ে বিএনপির প্রার্থীকে বিজয়ী করতে শক্ত অবস্থান নেয়ার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলার ভোটারদের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
অপরদিকে দলে নিজের অবস্থান পরিস্কার করতে রবিবার (৯ নভেম্বর) জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মো. কামরুল ইসলাম খান নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন।
ঐ পোস্টে তিনি লিখেছেন, “আমার বড় ছেলে আরাফাতকে শিবির করার জন্য অনেক বুঝিয়েছি, অনেক চাপ সৃষ্টি করেছি, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। তাকে দিয়ে শিবির করাতে পারিনি। আমি একজন ব্যর্থ পিতা। আমার বড় ছেলের সাথে আমি সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়ার জন্য”। যদিও পরবর্তীতে তিনি ফেসবুক পোস্টটি ডিলেট করেছেন।
শনিবার (৮ নভেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী কামরুল ইসলাম খান লিখেন, “আমাকে পিতা পরিচয় দিয়ে ৭ নভেম্বর গৌরনদী পাইলট স্কুল মাঠে বিএনপির পক্ষ নিয়ে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে তাতে কেহ হতাশ হবেন না। আমি আজ চিকিৎসা শেষে ঢাকা থেকে বাসায় ফিরে দুই উপজেলার আমীর, আসন পরিচালক ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দদেরকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব, ইনশাআল্লাহ। আমরা যখন দাঁড়িপাল্লা মার্কা নিয়ে মাঠে নেমেছি, বিজয়ের মালা জামায়াতে ইসলামীর হবেই হবে”।
ফেসবুক পোস্টের সত্যতা নিশ্চিত করে জামায়েত ইসলামীর প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মো. কামরুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, কেন্দ্রের নির্দেশে প্রথম পোষ্টটি ডিলেট করেছি। তিনি আরও জানিয়েছেন, আমার ছেলে বক্তব্যে যাহাই বলুক না কেন তাতে ভোটে কোন প্রভাব পড়বে না।
উল্লেখ্য, এরপূর্বে গত ৭ নভেম্বর বরিশালের গৌরনদীতে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের জনসভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক স্কুল বিষয়ক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত বিল্লাহ খান। এসময় তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমার বাবা হাফেজ কামরুল ইসলাম খান জামায়াতে ইসলামী থেকে বরিশাল-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন। আমি কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক নেতা।
আমি জেনেশুনেই বিএনপির রাজনীতিকে ভালবাসি। আমি আমার জায়গা থেকে আপনাদের সামনে বলতে চাই আমি আমার জীবনের শেষ পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাস করবো। এর বাহিরে আমার কোন ঠিকানা নাই।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, যদি আপনাদের কেউ বলে আপনারা যেই বিমানে উঠেছেন সেই বিমানের পাইলট ইউটিউব দেখে বিমান চালানো শিখেছে; আপনারা কি সেই বিমানে ভ্রমন করবেন? কেন করবেন, তার কারণ বিমানের পাইলটের কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নাই, অভিজ্ঞতা নাই। আমাদের স্বপন ভাই দুই দুইবারের এমপি।
তার পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে, সুতরাং আমরা আমাদের সুরক্ষার স্বার্থে স্বপন ভাইকে (বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপন) বিজয়ী করবো।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।