মোঃ আবুল বাসার,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃনোয়াখালীতে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না করার জন্য দায়ী সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা। এ অবস্থায় খাল পুনরুদ্ধার ও পানি নিষ্কাশনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জন কার্যালয়, জেলা জজ কোর্ট আদালত সড়ক, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট আদালত সড়ক, সার্কিট হাউজ সড়ক, নোয়াখালী সরকারি কলেজ সড়ক, নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ সড়ক ও রেললাইনসহ গুরুত্বপূর্ণ সকল সড়ক এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের পাড়া মহল্লার অলিগলির সকল রাস্তাগুলোই পানিতে তলিয়ে আছে। অনেকগুলো রাস্তায় চলছেনা মোটর চালিত যানবাহন। আবার চলতে গিয়ে অনেকগুলো যানবাহনকে বিকল হতে দেখা গেছে রাস্তায়।
সদ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান গতকাল জানিয়েছিলেন, সকলের সহযোগিতায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন অবৈধ বাঁধ কেটে পানি নিষ্কাশন স্বাভাবিক করার কাজ চলছে। বৃষ্টিপাত কমে গেলে পানি কমে যাবে।
এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে আশ্রয় দেয়ার জন্য উপজেলা পর্যায়ের সকল মাধ্যমিক, প্রাথমিক প্রতিষ্ঠান ও মাদরাসাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বলা হয়েছে। যেখানে যে সহযোগিতা প্রয়োজন আমরা তা করছি।
নোয়াখালী আবহাওয়া কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, গত ৩০ বছরের ইতিহাসে এ ধরনের ভারী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি। গত পাঁচ দিনের টানা বৃষ্টিতে ৪৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে সুবর্ণচর উপজেলার আমন চাষ ও মৎস্য প্রজেক্টের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এতে করে উপজেলার কৃষক ও মৎস্য চাষীরা দিশেহারা হয়ে পড়ছে। ইতিমধ্যে আরো দুই এক দিন হালকা থেকে মাঝারি বা ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।