অনলাইন ডেস্কঃ পঙ্গু হাসপাতালে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা না দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনা ওই হাসপাতালে এসে ‘নো ট্রিটমেন্ট নো রিলিজ’ নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন অভ্যুত্থানে পা হারানো একজন জুলাই যোদ্ধা।
সোমবার (৪ আগস্ট) ট্রাইব্যুনালে এ কথা বলেন গণহত্যা মামলার সাক্ষী পা হারানো আব্দুল্লাহ আল ইমরান।।
আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে দিনের মতো সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে।
এদিন সকাল ৯টায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
জবানবন্দিতে সাক্ষী আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, “পঙ্গু হাসপাতালে এসে শেখ হাসিনা বলেছিলেন ‘নো রিলিজ নো ট্রিটমেন্ট’। এরপর তার পায়ের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যায়। পায়ে পচন ধরলেও তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয় দেরি করে।”
অভ্যুত্থানে পা হারানো ওই সাক্ষী আরো বলেন, তার বাবা তাকে রিলিজ করে অন্য হাসপাতালে নিতে চাইলে তাও করতে দেওয়া হয়নি।
এদিন জুলাই আন্দোলনে আহত ঢাকা কলেজের ছাত্র আব্দুল্লাহ আল ইমরান ‘গুলি করে একটা, মরে একটা, একটাই যায়’-এই ভিডিওর সাক্ষ্য দিয়ে সাবেক আইজিপি মামুন, শেখ হাসিনা, কামালের সাজা চান। তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে স্টেট ডিফেন্স তাকে জেরা করেন।
এর আগে গতকাল রোববার এ মামলায় সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথমদিন সাক্ষ্য দেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত খোকন চন্দ্র। সূচনা বক্তব্যে রাষ্ট্রপক্ষ শেখ হাসিনা, কামালের সর্বোচ্চ সাজা চান।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।