সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ বাড়িতে করোনা আক্রান্ত বাবার জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে মোটরসাইকেলযোগে আসার পথে ছেলেকে আটক করে পুলিশ। বসিয়ে রাখা হয় দীর্ঘ দুই ঘণ্টা। পরে অবশ্য ২০০ টাকা দিলে ছেলে ওলিউল ইসলামকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। যতক্ষণে তিনি বাড়িতে পৌঁছান ততক্ষণে অক্সিজেন না পেয়ে শ্বাসকষ্টে মারা যান বাবা রজব আলী। এ ঘটনায় শুরু হয় তোলপাড়। প্রাথমিক তদন্তে মেলে ঘটনার সত্যতা। আজ শুক্রবার সকালে অভিযুক্ত এএসআই সুভাস বিশ্বাসকে ক্লোজ করে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন এএসআই সুভাষ বিশ্বাস।
জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈচনা গ্রামের রজব আলির করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। একপর্যায়ে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
রজব আলির ছেলে ওলিউল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে শহর থেকে একটি অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে শহরের ইটাগাছা এলাকায় পৌঁছালে ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সুভাষ বিশ্বাস তার মোটরসাইকেলটি আটক করে। তিনি জানান, তার পিতা অসুস্থ, অক্সিজেন নিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় তার কাছে টাকা দাবি করা হয়। তিনি টাকা না দিলে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে ২০০ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তিনি বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান, অক্সিজেন না পেয়ে শ্বাসকষ্টে তার পিতা মৃত্যুবরণ করেছেন। পরে তিনি এ ঘটনা সাংবাদিকদেরকে জানান।
তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, যদি সময় মতো অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে বাড়িতে যেতে পারতাম তাহলে হয়তো পিতাকে বাঁচাতে পারতাম। তিনি এই অমানবিক ঘটনার বিচার দাবি করেন।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।