ডেস্ক রিপোর্টঃ প্রবল স্রোতের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরারও পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে কে-টাইপ কাকলি নামে একটি ফেরি ধাক্কা দেয়। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলিয়া আসার পথে শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি দৈনিক অগ্রদূত প্রতিনিধি কে নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসি বাণিজ্য ম্যানেজার মোঃ সাফায়েত হোসেন ও মোঃ ফয়সাল হোসেন।
ফেরি কাকলির চালক মো. বাদল হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ফেরিটি পদ্মা সেতুর ১১-১২ পিলারের মধ্য দিয়ে আসার কথা। কিন্তু নদীর প্রচণ্ড স্রোত ও বাতাসের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। এতে ফেরির একপাশে ফাটল ধরে।
তিনি আরও বলেন, তবে ফাটল পানির স্তরের ওপরে থাকায় ফেরিতে পানিও ওঠেনি। পদ্মা সেতুর পিলারেরও কোনো ক্ষতি হয়নি। ধাক্কা লাগার পর ফেরিটি নিয়ে নিরাপদে শিমুলিয়া ঘাটে আসতে পেরেছি। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
সকালে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জনাব খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা লাগার বিষয়সহ সার্বিক অবস্থা পরিদর্শনে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে শিমুলিয়া ঘাটে আসেন। বিআইডব্লিউটিএর জাহাজে করে পদ্মা সেতুর ধাক্কা লাগার পিলারগুলি পরিদর্শনে যান। এসময় বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলাপ্রশাসক উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, আজ সকাল থেকে এ রুটে ৪টি ফেরি চলাচল করছে। শিমুলিয়া ঘাটে শতাধিক ও বাংলাবাজার ঘাটে প্রায় দুই শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
এর আগে, সোমবার (৯ আগস্ট) রো রো ফেরি পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আসার সময় বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নামের ওই ফেরিটি সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গত ২৩ জুলাই সকাল ১০টার দিকে পদ্মা সেতুর ৭ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খায় রো রো ফেরি শাহ জালাল। এতে ২০ জন যাত্রী আহত হন। ফেরিটি মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে রওনা দিয়ে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাচ্ছিল।
এর আগেও গত ২০ ও ২৩ জুলাই ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারে আঘাত করে ফেরি।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।