এসকে আলীম,কপিলমুনি খুলনাঃ একের পর এক থানায় মিথ্যা মামলা, মিথ্যা অভিযোগে একাধিক জিডি করা সহ সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মৎস্য ঘেরের মাছ লোপাট করে রীতিমতো হয়রানি ও নানাবিধ হুমকি ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে নগর শ্রীরামপুর জামে মসজিদের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল হান্নান সরদার। এ ঘটনায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে কপিলমুনি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) কপিলমুনি প্রেসক্লাবে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মৎস্য ঘের মালিক হান্নান সরদার জানান প্রতাপশালী তহমিনা বেগম কর্তৃক নানা হয়রানি ও অত্যাচারের কাহিনী। ষড়যন্ত্রকারীনী তহমিনার হাত থেকে রেহায় পেতে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ব্যাবসায়ীক সচ্ছতা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ অত্যান্ত সুনামের সাথে আমি মৎস্য ঘের পরিচালনা করিয়া আসিতেছি। বিগত কয়েক বছর যাবত রেজাকপুর মৌজার কুমুরখোলা বিলের বিভিন্ন মালিকের নিকট থেকে ৯৩ বিঘা জমি হারি নিয়ে একটা মৎস্য লীজঘের পরিচালনা করিয়া আসিতেছি। তিনি বলেন, আমার ৯৩ বিঘা ঘেরের পাশে অবস্থিত সফর আলী হাজরা গং, সেলিম হাজরা গং ও হাবিবুর রহমান শেখ গংয়ের ৭ বিঘা জমি বিঘা প্রতি ১০ হাজার টাকা হারি মতে ৫ বছর মেয়াদি ডিটমুলে অগ্রীম এক বছরের টাকা পরিশোধ অন্তে লিজ ঘের পরিচালনা করাকালে গড়ইখালী কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা হারুন অর রশিদের স্ত্রী পিত্রালয় নগর শ্রীরামপুর গ্রামে বসবাসরত দুর্দান্ত প্রকৃতির প্রতাপশালী মহিলা তহমিনা বেগম তার ভাতিজা সিরাজুল এবং রেজাকপুর এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী হাবিল ডাকাত ও তার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে রাতের আঁধারে আমার মৎস্য লীজঘের এলাকায় মহড়া সহ কয়েক দফায় মাছ লোপাট করে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, আমার ইজাকৃত ৭ বিঘা জমিটি আমার মৎস্য ঘেরের পাশে অবস্থিত। ইতোপূর্বে তহমিনা তার নিকট আত্নীয়ের কাছ থেকে মৌখিক ভাবে ইজারা প্রদানের পর ৪ বছর হারির টাকা না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করে লিজ ঘের ভোগ করে আসছিল। সেকারণে জমি মালিকগণ ৪ বছর হারির টাকা না পাওয়ার কারণে পরবর্তীতে জমি মালিকগন ডিটমুলে উক্ত ৭ বিঘা জমি ৫ বছরের জন্য আমাকে ইজারা প্রদান করেন। এই ঘটনায় তহমিনা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে সহ আমার উক্ত মৎস্য লীজঘেরের কেয়ার টেকার সেলিম হাজরার নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা করে যাচ্ছে। রাতের অন্ধকারে আমার মৎস্য ঘের এলাকায় প্রবেশ করলে আমি বাঁধা দেওয়ায় হয়রানির উদ্দেশ্যে গত ২৮/০২/২১ তারিখে পাইকগাছা থানায় আমি সহ আমার কেয়ারটেকার এর নামে মিথ্যা মামলা করে যার নং- ১৯। শুধু তাই নয়, মামলাবাজ তহমিনা বেগম হয়রানির উদ্দেশ্যে পরপর আরো ৪ টি জিডিও করে। এতেও ক্ষ্যন্ত হয়নি তহমিনা।সর্বশেষ গত ১৯/০৬/২১ তারিখে পাইকগাছা থানায় আরো একটি মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা করে যার নং- ২৮।তিনি বলেন, আমার মৎস্য লীজঘের নিয়ে বিবাদের কারণে স্থানীয় এমপি মহোদয় তদন্ত করার জন্য উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন ফিরোজ বুলু'র উপর দায়িত্ব অর্পণ করলে তিনি তহমিনা বেগমের বে-আইনী কর্মকান্ড ও অযৌক্তিক দাবি প্রমানিত হওয়ায় এতোদ সংক্রান্তে একটি তদন্ত প্রতিবেদন এমপি মহোদয় বরাবর প্রদান করেন। এতকিছুর পরও তহমিনা শুধু মামলা দিয়েই নয়, বর্তমানে আমাদের জীবননাশ সহ আরও মিথ্যা মামলা করবে বলেও হুমকি দিচ্ছে। আমরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছি, কারণ বিগত কয়েক বছর পূর্বে শ্রীফলতলা মৎস্য ঘেরের বাসা নিজেই পুড়িয়ে ভাইদের নামে মিথ্যা মামলা করে হয়রানী করেছিল। এছাড়াও তহমিনা শ্রীরামপুর গ্রামের কবরস্থানে যাতায়াতের পথ সহ পানি নিষ্কাশনের জায়গা দখল করে পাকা বাড়ি নির্মাণ করে নিজেই সেখানে বসবাস করছে। গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করলে তাদেরও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি দেয় তহমিনা ফলে গ্রামবাসী তার বিরুদ্ধে টুশব্দ করতে সাহস পায়না। তহমিনা শুধু নিজ এলাকাতে নয়, পাইকগাছা সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের নামে মামলা করে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেন। এমতাবস্থায় তার অব্যাহত জীবননাশের হুমকি সহ তার দায়ের করা সকল মামলা থেকে অব্যহতি প্রদানে পুলিশ সুপার সহ ডিআইজি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অসহায় ঘের মালিক আব্দুল হান্নান। পাশাপাশি তার সার্বিক কর্মকান্ডের জন্য তদন্ত পূর্বক দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।