এস কে আলীম,কপিলমুনি খুলনা।। পাইকগাছার পল্লিতে গৃহবধূ ধর্ষণ ও ডাকাতি মামলার অন্যতম প্রধান আসামী মোঃ জুয়েল সানা (৩৮) পুলিশেরর খাঁচায় বন্ধী। জুয়েল সানা কয়রা উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মৃত সাহবুদ্দিন সানার ছেলে। এ নিয়ে এই মামলার ৬ আসামীর মধ্যে ৫ জনকে পাইকগাছা থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গত ২৮ মার্চ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয় টায় আমাদি পুলিশ ক্যাম্পের সহায়তায় কয়রা উপজেলার আমাদি বাজার থেকে জুয়েল কে গ্রেফতার করা হয়।ওই দিন তাকে বিজ্ঞ পাইকগাছা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী (চৌকি) আদালতে হাজির করা হলে আদালতে সে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্ধী দিয়েছে। এর আগে ধৃত আসামী শেখ অহিদুল ইসলাম অহিদ (২৮) শেখ মোনায়েম হোসেন (২৪) মোঃ রফিকুল ইসলাম ওরফে ওরাকা (২৮) ও মোঃ ফেরদাউস ঢালী (৫১) ১৬৪ ধারায় আদালতে তারা তাদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্ধি দেয়। মামলার বিবরণে প্রকাশ, গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর পাইকগাছা উপজেলার কালুয়া গ্রামের জনৈকা গৃহবধূ রুপসী ঢালী তার এক শিশু পুত্রকে নিয়ে নিজ বসত ঘরে ঘুমায়। এদিন রাত ২ টার সময় একদল ডাকাত তার ঘরের টিনের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে গৃহবধূকে প্রহার করে ঘরের স্টিলের বাক্স খুলে সোনার গহনা, টাকা পয়সা ও মোবাইল ফোন সহ সর্ব সাকুল্যে এক লক্ষ আটচল্লিশ হাজার টাকা লুট করে। এ সময় ডাকাত দলের তিন সদস্য ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় রুপসী ঢালী বাদি হয়ে ঘটনার পরদিন ২৯ সেপ্টেম্বর পাইকগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২৬,তাং-২৯-০৯-২১। পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর ,আসামী জুয়েল সানার বিরুদ্ধে বাগেরহাট জেলার মোংলা থানায় অস্ত্র মামলা সহ কয়রা ও পাইকগাছা থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এদিকে জুয়েল সানা কে গ্রেফতার করায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমানকে ধন্যবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।