ফজলুল হক কালীগঞ্জ,প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ কদমতলা সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা বন বিভাগের স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ ফজলুল হক প্রকাশ্য ঘুষের টাকা নেওয়ার সময় আলোচিত চিহ্নিত ঘুষ খোর বন বিভাগ ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তাকে চিনে ফেলায় বাঁধা দেওয়ারও প্রতিবাদ করার কারণে সাংবাদিক ফজলুল হকের প্রকাশ্য জনসম্মুখে জীবন নাশের হুমকি প্রদান মামলা দেওয়া সহ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে লাঞ্ছিত করে চলে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে
গত বৃহস্পতিবার ২৬ অক্টোবর সাড়ে নয়টায় শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের মরহুম আব্দুর রহমানের বাড়ির সংলগ্ন ভেরি বাঁধ রাস্তার উপর। প্রকাশ্য একই এলাকার জৈনক সাদ্দাম হোসেন আমজাদ গাজী মিজানুর গাজী আবিয়ার হোসেন ও ফেরদৌস গাজী বন বিভাগ কর্তৃক বৈধ পারমিট নিয়ে সুন্দরবনের কাঁকড়া আহরণের জন্য বাড়ি থেকে সুন্দরবনের উদ্দেশ্য রওনা দেওয়ার সময় হঠাৎ ঐ ফরেস্ট কর্মকর্তা লোকালয়ে হাজির হয়ে প্রথমত সুন্দর বনে প্রবেশের জন্য বন অফিসের পাস পারমিট দেখতে চায় তাৎক্ষণিক ওই জেলেরা নিজেদের কাছেই রক্ষিত সুন্দরবনের প্রবেশের বৈধ পাশ পারমিট দেখায়। অতঃপর কোন কারন ছাড়াই অসহায় দরিদ্র কাঁকড়া আহরণকারীদের নৌকার মাথায় সবুজ রঙের পরিচিত মার্কা করা চিহ্নিত রং না দেওয়ার কারণে জেলেদের কাঁকড়া ধরার আনুষাঙ্গিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও রান্না করা হাড়ি ভর্তি ভাতের পাত্র নৌকা থেকে অকারনে অযথা সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে ঘুষের উৎকোচের টাকার জন্য সন্ত্রাসীর কায়দায় লাথি মেরে হাঁড়ি ভর্তি সমস্ত ভাত পানিতে ফেলে দেয়। অন্যদিকে বন বিভাগের বেঁধে দেওয়া ছয় দিনের পাস পারমিটের সময় সীমাবদ্ধ থাকার কারণে নিরুপায় হয়ে এ সময় কাঁকড়া ধরা জেলেরা বলেন স্যার আমাদের করণীয় কি তিনি বলেন আমাকে এক একটি নৌকা প্রতি অতিরিক্ত ২০০০ করে টাকা দিয়ে তারপর সুন্দরবনে প্রবেশ করবি কোন পথ খুঁজে না পেয়ে নিরুপায় হয়ে জেলেরা ওই ঘুষখোর বন ফরেস্ট কর্মকর্তা ফজলুর হাতে ঘুষের টাকা তুলে দেওয়ার সময় দৈনিক সাতক্ষীরার সকাল পত্রিকার ও bdnews-tv24.com ও জাতীয় দৈনিক অগ্নিশিখা পত্রিকার কালিগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ ফজলুল হকের ওই এলাকায় গ্রামের বাড়ি অবস্থানরত সময় তার সামনে উল্লেখিত অনাকাঙ্ক্ষিত এ ধরনের ঘটনা ঘটে। বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জ কদমতলা ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার সত্ত্বেও ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকাশ্য জন সম্মুখে জীবন নাশের হুমকি ও মামলা দেওয়ার ভয়-ভীতি দেখিয়ে বলেন সমস্ত সাংবাদিক আমার হাতের মুঠোয় রাখি বলে ঘটনা স্থল ত্যাগ করে। স্থানীয় ও এলাকাবাসী সূত্রে সংবাদ পেয়ে শ্যামনগর থানার মুন্সিগঞ্জের হরিনগর বাজার নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নুরুল ইসলাম সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উল্লেখ্য ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। তবে আমি বিষয়টি উভয়পক্ষকে একসাথে ডেকে আপোস মীমাংসার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে দেব বলে তিনি জানা। সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকাবাসীরা অধিকাংশ হতদরিদ্র বনজীবী পরিবারের লোকজন মুখে শোনা গেছে এই বন কর্মকর্তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ সুন্দরবনে মাছ কাঁকড়া ধরা সাধারণ মানুষ। ফরেস্ট বন কর্মকর্তা ফজলুর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর এ ধরনের বহু অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি বনবিভাগের ঊর্ধাতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সাংবাদিক ফজলুল হক বিভাগীয় বোন অফিসে ও জেলা রেঞ্জ অফিস সহ বিভিন্ন দপ্তরেও অভিযোগ দায়ের করেছেন
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।