অষ্টমী মালো„রমজাননগর প্রতিনিধি: এখানে এখন উৎসবের আমেজ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আগামী ২৭ শে মার্চ শনিবার সকাল দশটায় ঈশ্বরীপুরের যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে পূজা দিতে আসছেন বাংলাদেশের এই রাষ্ট্রীয় অতিথি ।
বাংলাদেশের অন্যতম একটি স্মৃতিবহুল স্থানের নাম ঈশ্বরীপুর। সেই জৌলুষ এখন আর নেই। একসময় রাজা উজির নাজির সৈন্য-সামন্তদের পদচারণায় মুখরিত ছিল যে জনপদটি সেটি এখন শুধু স্মৃতিই। এখানেই ছিল যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্যের রাজধানী যার নাম ধুমঘাট ।প্রতাপাদিত্যের এই রাজধানীতে দীর্ঘকাল কোন নামিদামি মানুষের পদার্পণ ঘটেনি।তবে হঠাৎ করেই এই এলাকাটি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।যশোরেশ্বরী কালিমন্দিরে আসছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। তাই সুদীর্ঘকালের নিস্তব্ধতা ভেঙে কর্মচঞ্চল উৎসবমুখর হয়ে পড়েছে ঐতিহাসিক ঈশ্বরীপুর গ্রামটি। এই অজ গ্রামে আগামী ২৭ মার্চ রাজার বেশে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদির আগমনকে ঘিরে ঈশ্বরীপুরে এখন উৎসবের আমেজ সাজসাজ রব। প্রতাপাদিত্যের রাজধানী ঈশ্বরীপুরের যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে তিনি পূজায় অংশগ্রহণ করবেন ।সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে ৫১ সতীপীঠের অন্যতম পবিত্র স্থান।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে এখানে নেয়া হয়েছে তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বলয়। বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী,বিমান বাহিনী,এসএসএফ, বিজিবি, পুলিশসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সংস্থা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন গোটা শ্যামনগর। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সফর সফল করতে নির্ঘুম সময় পার করছেন তারা। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে ঈশ্বরীপুর। স্থানীয়দের বাড়ীবাড়ী গিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।