নিজস্ব প্রতিবেদকঃনতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথের পর রবিবার সকাল থেকেই দেশের প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে নিজনিজ দপ্তরে অফিস করছেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা।
প্রত্যেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী প্রথম দিনে অফিসে এসেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তবে রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের এড়িয়ে গেলেন।
জিল্লুল হাকিম রেলমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে রবিবার প্রথম অফিসে আসার পর সাংবাদিকরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলেও তাদের এড়িয়ে নিজের কার্যক্রম শুরু করেন মন্ত্রী।
এদিন দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে রেলভবনে আসেন জিল্লুল হাকিম। এ সময় সাংবাদিকরা তার কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে কোনো কথা বলেননি তিনি।
পরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সিরাজ উদ দৌলা খান সাংবাদিকদের সভাকক্ষে বসতে বললে দীর্ঘ সময় পরেও মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করেননি।
প্রায় এক ঘণ্টা রেল ভবনের দ্বিতীয় তলার কনফারেন্স রুমে গণমাধ্যমকর্মীরা বসে থাকলেও রেলমন্ত্রী আর আসেননি। দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে সাংবাদিকরা রেল ভবন থেকে চলে যান।
প্রথম দিন অফিসে এসেই রেলমন্ত্রীর এমন আচরণে হতাশ হয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। সবার মধ্যেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী শাকের জামানের মোবাইলে কল দিয়ে সাংবাদিকরা অপেক্ষা করার কথা জানালে তিনিও উত্তেজিত হন। বলেন, মিটিংয়ে আছেন তারা।
এর আগে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান জিল্লুল হাকিম।
রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুল হাকিম মোট ছয় বার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে পাঁচবার নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী নাসিরুল হক সাবুর কাছে হেরে যান তিনি। পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনে সাবুকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এ ছাড়া ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জিল্লুল হাকিম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।