মোঃ আল আমিন গাজী,শ্যামনগর সাতক্ষীরাঃপশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের অনিয়ম ও দূর্নীতি নিয়ে সুন্দরবন প্রেসক্লাবের টানা অনুসন্ধানী রিপোর্টের প্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছে বন বিভাগ। পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ ফজলুল হকের ভাষ্যমতে সুন্দরবনে অপরাধিদের অপরাধ নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে বন বিভাগ কিন্তু বাস্তব চিত্র যেন তার বিপরীত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলের ভাষ্যমতে, সুন্দরবন এখন পুরোপুরি প্রভাবশালী মহাজনদের কব্জায়। বেশি নৌকা ও বেশি টাকা না দিতে পারলে ঢোকা যায় না অভয়ারণ্যে। আমরা শোষিত হচ্ছি বনবিভাগ, মহাজন ও জলদস্যুদের কাছে। সুন্দরবনের যাওয়ার জন্য পাস(অনুমতি পত্র) করা থেকে শুরু করে মাছ বা কাঁকড়া বিক্রির শেষ পর্যন্ত দিতে হয় প্রচুর পরিমাণ টাকা। জেলেদের কথার সত্যতা মিলেছে গতকাল রাতের ছয় ঘন্টার অভিযানে ৬টি নৌকা ও ৮ জন আটকের পর। মাত্র ছয় ঘন্টার অভিযানে এমন সফলতা তাক লাগিয়ে দিয়েছে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।গত এক সপ্তাহে বন বিভাগের স্মার্ট পেট্রোলিং টিমের অভিযানে মাত্র ৫টি নৌকা জব্দ তাহলে সবাইকে চুক্তিতে আবদ্ধ?
বিশেষ এই অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া বুড়িগোয়ালিনী রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ ফজলুল হক জানান, হলদেবুনিয়া অভয়ারণ্যকেন্দ্রের ছায়া নদীর প্রবেশ নিষিদ্ধ এলাকায় মাছ ধরার অপরাধে ৬টি নৌকা ও ৮জনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে মোট ৮৬কেজি সাদা মাছ পাওয়া যায়। মাছ সহ আসামীদের আজ কোর্টে পাঠানো হয়েছে। অভিযানে আরো অংশ নেন সাতক্ষীরা রেঞ্জের রেঞ্জ এসিস্ট্যান্ট এ বি এম হাবিবুল ইসলাম, মোঃ মেজবাউল ইসলামসহ হলদিবুনিয়া অভয়ারণ্য কেন্দ্রের স্টাফবৃন্দ।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।