নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে গোয়েন্দা বিভাগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল কর্তৃক আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই প্রশ্ন তুলেন তিনি।
সরকার প্রধানের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ডামি সরকারের প্রধানমন্ত্রী গোটা জাতিকে একটা ইস্যু প্রেমি বানানোর চেষ্টা করছে। যার কারণে একেক সময় একেক ঘটনা ঘটাচ্ছে সরকার। অর্থাৎ তুমি ঐ দিকে তাকাও আমি যা করছি সেদিকে তাকাবে না।’
তিনি বলেন, ‘বেনজীররা যে দুর্নীতি করেছে আজিজরা যে দুর্নীতি করেছে অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা যে হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে প্রধানমন্ত্রী আপনি কি এগুলো দেখেন না আপনার এজেন্সি গুলো আপনার গোয়েন্দা বাহিনী গুলো কি করে?তারা কি দেখেনা?তাদের কি শুধুমাত্র বিএনপি'র নেতাকর্মীদেরকে গ্রেপ্তার করার জন্যই কি আপনি তৈরি করেছেন? তাদের কি শুধু ইলিয়াস আলী কে গুম করার জন্য রাখা হয়েছে? সাইফুল ইসলাম হিরুকে গুম করার জন্য রাখা হয়েছে? যুবদল নেতা সুমনকে গুম করার জন্য তাদের রাখা হয়েছে?তা না হলে একজন পিয়ন কি করে ৬০ কোটি টাকার মালিক হয় একজন ড্রাইভার যদি ১০০ কোটি টাকার মালিক হয় সেটা কি আপনার সরকার জানবে না?’
রিজভী বলেন, যখন বিসিএসের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় তখন কি আপনার গোয়েন্দা বিভাগ বিছানার মধ্যে ঘুমিয়ে থাকে? মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র যখন ফাঁস হয় তখন তারা কি করে? তারা কি দিনের বেলায় ঘুমান? তা না হলে এত দুর্নীতি হয় কি করে?
রিজভী আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশ তাদের রাজনৈতিক সংকট মোকাবেলা করার জন্য বাংলাদেশের জমিনকে তারা ব্যবহার করতে চাচ্ছে অর্থাৎ বাংলাদেশকে একটা চিরস্থায়ী আন্তর্জাতিক চক্রান্ত আন্তর্জাতিক খেলাধুলার মধ্যে ফেলে দেওয়ার একটা প্রচেষ্টা তারা হাতে নিয়েছে।যার কারণে আমরা দেখতে পাচ্ছি সরকার জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে দিচ্ছেন নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য, দেশ বিরোধী সকল চুক্তি করার জন্য।তাই কখনো আমরা দেখছি আজিজ কাণ্ড কখনো দেখছি বেনজীর কাণ্ড, কখনো দেখছি পিএসসির ড্রাইভার কাণ্ড কখনো দেখছি মতিউর কাণ্ড একের পর এক কাণ্ড আমরা দেখতে পাচ্ছি।
তিনি বলেন, ডামি সরকারের দখলদার প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কলাকৌশলে জিয়া পরিবার এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিভিন্নভাবে হেয় করেও যখন জনগণের মন থেকে মুছে ফেলতে পারেনি এখন নতুন করে তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছেন।যে নেত্রী কখনো কোনো স্বৈরাচারের কাছে আপস করেননি। তার জনপ্রিয়তাই একজন ব্যক্তির হিংসার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে রিজভী আরও বলেন, তারা আক্রমণ করবে তারা বন্দী করবে তারা মামলা দিবে তারা ক্রসফায়ার দিবে তারা গুম করবে এ সমস্ত নির্যাতনের পরেও আমরা সত্যের জন্য মানুষের মুক্তির জন্য এবং মানুষের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য আমরা আমাদের লড়াই আমাদের রাজনীতিকে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিমের পরিচালনায় আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র সহ-অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়াল, বিএনপি নেতা ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল প্রমুখ।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।