ফেনী প্রতিনিধি :
টানা বৃষ্টি আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় নতুন করে ৫ম দফায় দূর্গাপুর ও চিথলিয়া প্লাবিত হয়েছে। দফায় দফার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ বেডিবাঁধগুলো মেরামত না করায় সহজেই এলাকাগুলোতে পানি ঢুকে পড়েছে। মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নতুন নতুন গ্রামে পানি ঢুকে প্লাবনের সৃষ্টি হতে পারে বলে ফুলগাজী ও পরশুরামের মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
প্লাবিত এলাকাগুলোতে কৃষকদের ফসলী জমি, পুকুরের মাছসহ রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে প্রবল ¯্রােতে তলিয়ে যাওয়া রাস্তায় উপর স্থানীয়রা অস্থায়ী সাঁকো নির্মাণ করে পারাপার করছে।
দুর্গাপুর বড় বাড়ির বাসিন্দা আক্কাস আলী বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে কয়েকদিন পর পর বন্যায় তাদেরকে তাড়া করে। বাড়িঘর সবকিছু পানিতে তলিয়ে যায়। একটু বৃষ্টি হলেই বেড়িবাাঁধ সংলগ্ন এলাকায় মানুষের মাঝে আতংক দেখা দেয়। বন্যার পানির সমস্যা স্থায়ী হওয়ায় স্বাভলম্বীরা নিরাপদ স্থানে ভাড়া ভাড়িতে বসবাস শুরু করে দিয়েছে। কিন্তুু হতদরিদ্্র কৃষক ও মৎজীবীসহ নানা নি¤œ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে অন্যত্র বসবাস করতে সম্ভব হচ্ছেনা। এমতাবস্থায় তারা বন্যার পানির সাথে যুদ্ধ করেই বাচতে হচ্ছে।
বারবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ আবুল কালাম জানান, প্রতিবারই বন্যার পানিতে তলিয়া যাওয়া এলাকায় রাজনৈতিক নেতারা এসে ছিড়া, মুড়িসহ বিভিন্ন শুকনা খাবার বিতরণ করে। কিন্তুু এসব দিয়ে আমাদের কয়দিন যায়। কিভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে চলি। সেটি সরকার দেখেনা।
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বন্যার স্থায়ী সমাধান টেকসই বাঁধ নির্মাণে ইতোমধ্যে জরিপ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শুকনো মৌসুম এলে কাজ শুরু হবে। এখন ক্ষতিগ্রস্থদের সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
টানা বৃষ্টি আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর পরশুরামে নতুন করে ৫ম দফায় কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ছবিটি গতকাল শুক্রবার সকালে পরশুরাম উপজেলার চিথলীয়া ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রাম থেকে তোলা হয়েছে।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।