মোঃ বেলাল হোসেন চট্টগ্রামঃবড় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে আছে ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগ। ইন্ডিয়া এবং বার্মা টেকটোনিক প্লেটে যে শক্তি সঞ্চয় হয়েছে ,তার ৬০ থেকে ৮০ ভাগ যে কোনো ভূমিকম্পের মধ্য দিয়ে বের হয়ে এলেই ,ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে হবে এই অঞ্চল।
২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠেছিল বাংলাদেশ। সেইবার আতঙ্কেই মারা যান ৬ জন । গত ১৫ বছরে ছোট বড় ভূমিকম্পে ১৪১ বার কেঁপে ওঠে বাংলাদেশ।ছোট ভূমিকম্প গুলো বড় ভূমিকম্পের আলামত। আবার বড় ভূমিকম্পের শত বছরের মধ্যে আরেকটি বড় ভূমিকম্প হয়। সে দিক থেকেও কয়েক বছরের মধ্যে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কাও বেশি।
ইন্ডিয়া এবং বার্মা প্লেটে এবং বাংলাদেশের ভূতাত্বিক অবস্থান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বলেছেন , যেকোনো সময় বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানবে। রাজশাহীর ঢাকার আশেপাশে বড় মাত্রার ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে ঢাকা মহানগরীর ।
ইন্ডিয়ান ইউরেশিয়ান এবং বার্মা তিনটি গতিশীল প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান। বাংলাদেশের দুই দিকের ভূ গঠনে শক্তিশালী ভূমিকম্পের শক্তি জমা হয়েছে। একটি উত্তর-পূর্ব কোনে সিলেটের ডাউকি ফলটে, আরেকটা পূর্বে চিটাগাং ত্রিপুরা বেল্টে পাহাড়ি অঞ্চলে। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে যাওয়া ইন্ডিয়া বার্মা টেকটোনিক প্লেটে গেলো শত বছরেরও কোনো বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়নি। তাই এই প্লেটে জমেছে দীর্ঘদিনের সঞ্চয় শক্তি। এটি যে কোন মুহূর্তে ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের মধ্য দিয়ে হাজির হওয়ার আশঙ্কা আছে।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।