নিজিস্ব প্রতিনিধিঃ আবারও উত্তপ্ত মিয়ানমারের রাখাইন। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ২৯ সদস্য। গতকাল সোমবার বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। গত ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশে আসে মিয়ানমারের সেনাসহ বিভিন্ন বাহিনীর ৩৩০ জন সদস্য। ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের ফেরত পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী জানান, চলমান সংঘাতের মধ্যে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৯ সদস্য বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এরপর তারা নাইক্ষ্যংছড়ি সদর উপজেলার আশারতলী সীমান্তবর্তী নোম্যান্সল্যান্ডে আত্মগোপন করে। সেখানে তারা কয়েকদিন থাকার পর খাদ্য সংকটে পড়ে এবং এক পর্যায়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। বিজিবি সদস্যরা তাদের হেফাজতে ক্যাম্পে নিয়ে যান।
বিজিবি জানান, বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) অধীনস্থ জামছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অংথাপায়া ক্যাম্প থেকে ২৯ জন বিজিপির সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষ দিক থেকে মিয়ানমারের তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী একজোট হয়ে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো হলো-তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি-টিএনএলএ, আরাকান আর্মি-এএ এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি-এমএনডিএএ।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।