নিজস্ব প্রতিনিধিঃরাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন মায়াকানন এলাকার নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ভবনের মালিক মো. ফারুক হোসেন (৪০) ও ঠিকাদার মো. আমিনুল হক ভুইয়াকে (৫১) আসামি করা হয়েছে। নিহত শ্রমিক আলতাবুর রহমানের স্ত্রী আফরোজা বেগম শুক্রবার সবুজবাগ থানায় এ মামলা করেন।
সবুজবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আজগর আলী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ভবন মালিক ও ঠিকাদারকে আসামি করে মামলা হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল হাসেম ভিলা ভবনের মালিক মো. ফারুক হোসেনের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ছত্রকান্দায়। ঠিকাদার মো. আমিনুল হক ভুইয়ার বাড়ি কুমিল্লার লাঙ্গলকোটে।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বাসাবো এলাকার মায়াকানন মসজিদের পেছনে ১০তলা ভবনের ওপর থেকে পড়ে তিন শ্রমিক গুরুতর আহত হন। পরে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে আলতাফুর রহমান (৪০) ও অন্তর (২৫) মারা যায়। গুরুতর আহত অপর শ্রমিক মফিজুল ইসলামকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান। তিনজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহত তিন শ্রমিকের সঙ্গে কাজ করা মিস্ত্রী মো. হালিম বলেন, বৃহস্পতিবার ভবনের বাইরের দিকে প্লাস্টার করার জন্য বাঁশ দিয়ে মাচা বানানো হয়েছে। শুক্রবার সকালে প্লাস্টারের কাজ শুরুর আগে পানি দেওয়ার জন্য আলতাবুর, মফিজ ও শান্ত মাচার ওপরে যান। হঠাৎ মাচার একটি বাঁশ ভেঙে তারা দুই ভবনের মাঝে পড়ে যান।
হালিম বলেন, আলতাবুর ছয় দিন পর শুক্রবার সকালে কাজে আসেন। তার বড় বোন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। সেই বোনের মৃত্যুর খবর পেয়ে গ্রামের বাড়িতে যান। বৃহস্পতিবার রাতে জামালপুর থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। শুক্রবার সকালে কাজে এসে এ ঘটনায় মারা গেলেন।
হালিমের ভাষ্য, ঘটনার সময়ে আমি নিচে ছিলাম, তারা ওপরের দিকে ছিল। নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই আলতাব ও অন্তর মারা যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান মফিজুর।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।