ডেস্ক রিপোর্ট: বেসরকারি খাতকে করোনা ভাইরাসের কোনও টিকা সরকার দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি খাত কোনও টিকা পাবে না। তারা আমদানি করে টিকা দিতে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে টিকার দাম সরকার নির্ধারণ করে দেবে।’
সোমবার (০১ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরে রেড ক্রিসেন্টের কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে টিকা পাওয়া নিয়ে কোনও সংশয় নেই। সময়মতো সব টিকা চলে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে নিবন্ধিত শিক্ষকদের ডাটা চাওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব তাদের টিকা দেয়া হবে।’
গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম। গত ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বহুল প্রতীক্ষিত টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এবং প্রথম ৫ জনকে টিকা দেয়া দেখেন। সব মিলিয়ে উদ্বোধনী দিনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ২৬ জনকে টিকা দেয়া হয়।
বাংলাদেশে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়া হচ্ছে। সবাইকে এ টিকার দুটি করে ডোজ নিতে হবে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছিল, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে তাদের এ টিকা নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে এবং ৭০ শতাংষ স্বেচ্ছাসেবীকে কার্যকর সুরক্ষা দিতে পেরেছে।
করোনার এ টিকা গ্রহণের পর কারও কারও হালকা জ্বর, গা ব্যথা, ক্লান্ত অনুভবের মতো কিছু সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও এ নিয়ে আতঙ্ক কিংবা অস্বস্তির কিছু নেই- বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আর বাংলাদেশে যারা টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে এখন তেমন মারাত্মক কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলেও খবর পাওয়া যায়নি।
উপহারের ২০ লাখসহ এখন পর্যন্ত তিন ধাপে ভারত থেকে ৯০ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসেছে।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।