স্টাফ রিপোর্টারঃ বছর ঘুরে আবার এলো ত্যাগের ঈদ। করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে এবার ভিন্ন এক পরিবেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। অদৃশ্য এক ভাইরাসের ভয়ে জবুথবু মানুষ। প্রায় থেমে গেছে সব উদযাপন। এমন অবস্থায় মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহাও দেশে দেশে উদযাপিত হচ্ছে সীমিত পরিসরে। আজ ঈদের জামাতের পর মোনাজাতে মহামারি থেকে মুক্তির ফরিয়াদ জানাবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদুল আজহার জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করবেন।
করোনা মোকাবিলায় ও সংক্রমণ বিস্তার রোধে ঈদুল ফিতরের মতো এই ঈদেও সরকারের নির্দেশনায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি এবং হাত মেলানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
গত বছরের মতো এবারো হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত হচ্ছে না। হচ্ছে না শত বছরের ঐতিহ্য ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানের ঈদ জামাতও। তবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এবার ঈদের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
প্রায় চার হাজার বছর আগে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভের জন্য হযরত ইব্রাহিম (আ.) নিজ পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)কে কোরবানি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরম করুণাময়ের অপার কুদরতে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। হযরত ইব্র্রাহিম (আ.)-এর ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহ্ পাকের অনুগ্রহ লাভের আশায় পশু কোরবানি করে থাকেনস। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য আল্লাহ’র নামে কোরবানি করা ওয়াজিব।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।