ডেস্ক রিপোর্ট : নভেল করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে টানা প্রায় ৮ মাস ধরে বন্ধ থাকা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কবে খোলা হবে, কিংবা আদৌ খোলা হবে কি হবে না- এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে দফায় দফায় ছুটি বাড়াচ্ছে সরকার।
সবশেষ গত ১২ নভেম্বর এক ঘোষণায় ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়িয়েছে সরকার।
এরইমধ্যে মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দেশনা আগামীকাল বুধবার আসতে পারে।
ওইদিন দুপুর ১২টায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত থেকে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন। খবর বাসস’র।
এদিকে উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু না করার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
গেল ১১ নভেম্বর কমিশনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পাবলিক পরীক্ষার ফল এখনও প্রকাশ করা হয়নি। কমিশন অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এইচএসসি বা সমমানের পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেছে।
৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর কয়েক দফায় এই ছুটি বাড়ানো হয়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি চলছে।
গেল ২৯ অক্টোবর এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, ‘শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে কিনা সেটি দেখবো। যদি প্রয়োজন হয় তখন পরীক্ষা পেছাতে পারে। সবকিছুই পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। আর পরিস্থিতি অনুকূলে আসলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। তাছাড়া খোলার সুযোগ নেই।’
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।