নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ‘জুলাই শহীদ’ ও ‘যোদ্ধারা’ ক্যাটাগরি অনুযায়ী এককালীন ও মাসিক ভাতা পাবেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
আজ সোমবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ফারুক-ই-আজম বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তারা জুলাই শহীদ নামে খ্যাত হবেন। এই নিরিখে তাদের পরিবারগুলো সনদ ও পরিচয়পত্র পাবেন। জুলাই অভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন, তারা জুলাইযোদ্ধা নামে খ্যাত হবেন। তারা এই নিরিখে সনদ ও পরিচয়পত্র পাবেন এবং অন্যান্য যেসব সরকারি সুযোগ-সুবিধা ও আজীবন চিকিৎসা সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি তারা ভাতাও পাবেন।’
তিনি বলেন, ‘যারা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা পাবেন সঞ্চয়পত্রের নিরিখে। এরমধ্যে এই অর্থ বছরেই তাদের সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। আগামী অর্থবছরের জুলাই মাস থেকে বাকি ২০ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্রের নিরিখে পাবেন।’
তিনি বলেন, ‘তিনটি ক্যাটাগরি করা হচ্ছে। ‘এ’ ক্যাটাগরির যোদ্ধারা এককালীন ৫ লাখ টাকা ও মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। ‘বি’ ক্যাটাগরির যোদ্ধারা এককালীন ৩ লাখ টাকা ও মাসিক ১৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। আর ‘সি’ ক্যাটাগরির যোদ্ধারা পুনর্বাসন ও সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন।’
রাজনৈতিক সরকার যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে জুলাই অধিদপ্তরের অস্তিত্ব নাও থাকতে পারে! এমন আশঙ্কা কি করেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো সরকারিভাবে এই জুলাই অধিদপ্তর করেছি। পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার যারাই নির্বাচিত হয়ে আসবেন তারা তো জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা নিয়েই আসবেন। আমরা মনে করি তারাও রক্ষা করবেন। তারা দেশ-জাতিকে মুক্তির জন্য, বৈষম্যমুক্ত করতে জুলাই অভ্যুত্থানে ত্যাগ স্বীকার করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ তাদের তালিকা পেয়েছি জানুয়ারির ১৬ তারিখে। সেই রাতের ৩টায় আমরা গেজেট করে তা প্রকাশ করেছি। তালিকাটাও তৈরি হচ্ছে খুব দ্রুত। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আহতদের তালিকা ক্যাটাগরিজ করা হচ্ছে। তালিকাটা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে আসা মাত্র তাৎক্ষণিক সেটা আমরা গেজেট প্রকাশ করবো। সুতরাং এখানে নতুন করে ঢুকানো বা বাদ দেওয়ার সুযোগ থাকবে না।’
আহতরা দাবি তুলেছেন যে, ক্যাটাগরি তুলে দেওবার জন্য। সে ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ বা চিন্তা মন্ত্রণালয় করছে কি-না?
জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘না এরকম কোনো তথ্য নেই। সেরকম কোনো পরিকল্পনা আপাতত জানা নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করছে। তারা তাদের কাজ শেষ করে আমাদের জানালে আমরা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে ব্যবস্থা নিবো। শুরুর দিকে যারা আহত ছিলেন, আহত হয়ে, অসুস্থ হয়ে যারা চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের অনেকে ডকুমেন্টস রাখেননি বা সংগ্রহ করেননি। এমনদেরও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।