ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি মুসলিম বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন বন্ধে ভারত সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে। বিজেপি নেতা নূপুর শর্মার হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে উত্তপ্ত হয়ে আছে ভারত। গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন অংশে একটানা আন্দোলন চলছে। এখন পর্যন্ত দুই আন্দোলনকারী নিহত এবং শত শত অংশগ্রহনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশের বাইরেও মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
এরইমধ্যে অ্যামনেস্টি এক বিবৃতিতে বলে, যেসব মুসলিম বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে কর্তৃপক্ষ বেছে বেছে তাদেরকে নির্মমভাবে দমন করছে। সংস্থাটির মুখপাত্র আকার প্যাটেলের দেয়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়, শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বিক্ষোভকারীদের দমন করা, স্বেচ্ছাচারী গ্রেপ্তার এবং শাস্তি দিতে বাড়ি ভেঙ্গে দেয়ার মাধ্যমে ভারত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেছে।
আরব নিউজ জানিয়েছে, আন্দোলনে যোগ দেয়ায় উত্তর প্রদেশেই তিন শতাধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ প্রথম থেকেই বারবার অপরাধিদের বাড়ি ভেঙ্গে দেয়ার কথা বলেছেন। যদিও সমালোচকরা বলছেন, এমন পদক্ষেপ সংবিধানবিরোধী এবং মানবাধিকার আইনে এ ধরনের শাস্তির কোনো স্থান নেই। গত ক’দিনের বিক্ষোভ থেকে গ্রেপ্তার হওয়াদের অবিলম্বে শর্তহীন মুক্তি চেয়েছে অ্যামনেস্টি।
প্যাটেল বলেন, মুসলিমদের টার্গেট করে ভারত যে উদ্বেগজনক আচরণ করছে এসব গ্রেপ্তার এবং বাড়ি ভেঙ্গে দেয়া তারই অংশ।
উল্লেখ্য, নূপুর শর্মাকে বরখাস্ত করেছে বিজেপি। কিন্তু তাতে মুসলিম দেশগুলোর ক্ষোভ থামেনি। অন্তত ২০টি দেশ ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং ভারতকে ক্ষমা চাইতে চাপ দিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশসহ অনেক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশেই এর প্রতিবাদে আন্দোলন হয়েছে। শুক্রবারের নামাজের পর বাংলাদেশে এক লাখেরও বেশি মানুষ আন্দোলনে যোগ দেয়। বড় প্রতিবাদ দেখা গেছে পাকিস্তানের শহর লাহোরেও।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।