ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বিএনপির নেতা কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, তারা (আওয়ামী লীগ) কত মারবে, বুলেট, টিয়ার গ্যাস, লাঠি দিয়ে কত মারবে? মৃত্যু যখন নির্ধারিত, একদিন আসবেই। তাহলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের অধিকার আদায় করে নিতে হবে।
শুক্রবার (৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত ‘গণতন্ত্র, গণমাধ্যম, গণকন্ঠ অবরুদ্ধ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কোন পথে?’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, গণতন্ত্র ও আওয়ামী লীগ এই দুইটা একসাথে কখনো যায়নি, আর কখনো যাবেও না। আজ দেশের সবকিছু আওয়ামী লীগ করে। তাহলে গণতন্ত্রটা কিভাবে পাবেন? গণতন্ত্রটা আদায় করে নিতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার, এটা কোন সরকার না। আপনারা বলেন না অবৈধ সরকার? আসলে আদৌ এটা কোন সরকারই না। এটা হচ্ছে একটি রাজত্ব। বৈধ-অবৈধ কোন সরকারের মধ্যে এটা পড়ে না। এই রাজত্ব থেকে বের হতে হলে প্রজাদেরকেই বিদ্রোহ করতে হবে। বিএনপি কি করল, না করল সেদিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। ঐক্যফ্রন্ট, ২০ দলীয় জোট কি করল, না করল সেদিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। যেখানে যেভাবে সম্ভব সেখানে সেভাবে বিদ্রোহ করতে হবে।
যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ইংরেজদের বিরুদ্ধে ফকির মজনু, তিতুমীর, এবং হিন্দুরা বিদ্রোহ করেছে না? সেই ভাবে যার যার অবস্থান থেকে বিদ্রোহ করতে হবে। তাহলেই মুক্তি মিলবে।
বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এই আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতা কর্মীরা সবসময় বলে তারা সমুদ্র জয় করেছে, এটা করেছে ওটা করেছে, খোঁজ নিয়ে দেখেন সেই সমুদ্রসীমা এখনও আমরা পাই নাই। এই সমুদ্রসীমার উপরে যে আকাশ পথ, ওই আকাশ পথও আমরা পাই নাই। সুন্দরবনের দক্ষিণের যে আকাশপথ সেই আকাশপথ নিয়ন্ত্রণ করছে ভারত, সেখান থেকে তারা ট্যাক্স নিয়ে যাচ্ছে। আর পার্বত্য চট্টগ্রামের এই পারে যেটা ওটা এখনো নিয়ন্ত্রণ করে মিয়ানমার। সেটার টাকা তারা নিয়ে যায়, আমরা পাইনা। বড় বড় কথা বলে যে আমরা এই করেছি সেই করেছি। হ্যাঁ তোমরা একটা জিনিসই করেছ, আকামের রাজা-রানী তোমরা, কুকীর্তির রাজা-রানী তোমরা। গণতন্ত্রকে ১০ হাত মাটির নিচে পুঁতে ফেলেছ, এটাই করেছ তোমরা।
শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনার বাবা বাকশাল কায়েম করে মৃত্যুবরণ করেছে। আপনাকে আবার রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে জিয়াউর রহমান। আওয়ামী লীগ নামক এই বাগানটা করে দেওয়ার জন্য জিয়াউর রহমানের হাত রয়েছে। আর সেই জিয়াউর রহমানের খেতাব এরা কেড়ে নিতে চায়। কত বড় অকৃতজ্ঞ দল জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নিতে চায়।
বিএনপি’র নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই অকৃতজ্ঞদের কাছে কোন কিছু চেয়ে লাভ নেই। তারা কত মারবে, বুলেট-টিয়ার গ্যাস-লাঠি দিয়ে কত মারবে? মৃত্যু যখন নির্ধারিত একদিন আসবেই। তাহলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের অধিকার আদায় করে নিতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপকি সাইদুল ইসলাম লরনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।