আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
যুক্তরাজ্যে ৩৬০ দামী সম্পত্তি কিনেছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে ২৫০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে ৩৬০টি দামী সম্পত্তি কিনেছেন। যা বাংলাদেশি অর্থে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার সমান। ব্রিটেন ছাড়াও নিজের রিয়েল স্টেট ব্যবসাকে সম্প্রসারণ করেছেন দুবাই, নিউইয়র্ক, সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ায়।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার বিস্তারিত এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউবে এসংক্রান্ত এক ভিডিও আপলোড করা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, সামান্য সরকারি বেতন পেয়েও ভিনদেশে কীভাবে সাম্রাজ্য তৈরি করেছেন তিনি। আলজাজিরার ওয়েবসাইটেও ২৫ মিনিট ১১ সেকেন্ডের ওই ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে যার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘The Minister's Millions I Al Jazeera Investigations’।
প্রতিবেদন বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বেশ ভালো সখ্যতা ছিল সাইফুজ্জামানের। যা তিনি নিজেই স্বীকার করে বলেছেন, “আমার বাবা শেখ হাসিনার খুব কাছের লোক ছিলেন। আমিও তার কাছের লোক… হাসিনা আমার বস… তিনি জানেন যুক্তরাজ্যে আমার ব্যবসা আছে।”
আলজাজিরা জানিয়েছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী ২০১৭ সালের দিকে সম্পদ কেনা বাড়িয়ে দেন। ২০১৯ সালে যখন তিনি মন্ত্রী হন তখন এটি আরও বাড়ে।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, গত বছর বিনিয়োগকারীর ছদ্মবেশে তাদের সাংবাদিক সাইফুজ্জামানের ১৪ মিলিয়ন ডলারের বাড়িতে যায়। ওই সময় ‘ছদ্মবেশি’ সাংবাদিকদের সাইফুজ্জামান বড়াই করে জানান, তিনি কুমিরের চামড়ার হাতে তৈরি জুতার উপর হাজার হাজার ডলার খরচ করেন এবং লন্ডনের সবচেয়ে দামী দোকান থেকে ইতালিয়ান স্যুট তৈরি করে পরেন। এছাড়া ওই সময় লন্ডনের নিজের বাড়িও ঘুরিয়ে দেখান তিনি। যেটিতে রয়েছে সিনেমা হল, জিম, ব্যক্তিগত এলিভেটর এবং নতুন রোলস রয়েলস গাড়ি রাখার নিরাপদ আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং এরিয়া।
বাংলাভিশনের গুগল নিউজ ফলো করতে ক্লিক করুন
সাইফুজ্জামান আলজাজিরার কাছে দাবি করেছেন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও আরব আমিরাতে নিজের বৈধ ব্যবসার মাধ্যমে এই সম্পদ কিনেছেন। তবে অন্তর্বর্তী সরকার তার বিরুদ্ধে এখন অর্থপাচারের অভিযোগ এনে তদন্ত শুরু করেছে। ইতোমধ্যে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ এবং তার পরিবারের মালিকানাধীন ইউসিবিএল ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।